লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

শানু চৌধুরী

বোধের চিরায়ত দাগ


প্রকোপ থেকে উঠে আসে
ভিক্ষুণীদের প্রাতিমোক্ষ লোকোত্তরবাদ
বেলাশেষের তন্ত্র সংগীত,
আমাদের স্বরচিত গুম্ফায় কোনোদিন আসেনি
ডাকার্ণবের বিধিত অনুক্ষণ।
আমি জানি সাধনার ভিতর ছড়িয়ে থাকে কথা
অথচ বর্ণময়ী মায়ায় ভেদ হল না আমাদের সন্ধ্যাভাষা
তবু প্রকাশ হয়, মুদ্রা ও যন্ত্রের প্রহেলী
যেখানে অভিনিবেশ করেছিল যৌবন যোগিনীর সঞ্চয়।


শাদা শালুর ওপর শান্ত মুদ্রাটি
ছড়িয়ে আছে অর্হৎ-এর অপেক্ষায়
তবু রসায়ন থেকে চুঁইয়ে পড়ে আকাঙ্ক্ষার বস্তুসকল
আনাজ শরীরে।
বোধিচিত্ত ও নিরাত্মা দেবী উন্মত্ত হও, বিহারে যাও
কারণ, আমাদের শবরে জ্ঞান-চৈতন্য বলে কিছু নেই আর
শুধুই মিছিমিছি ফাঁকা হল
মানুষের কঙ্গুরমোচিত জোৎস্নাবাড়ি


শুঁড়িনীর মদ বেচার উপমায়
ভিজেছিল বিবর্ণ চীবরের রশ্মিগুলি
অথচ দেখা হল না ধর্মের দ্রোহিতা দিয়ে
শিষ্যের কপ্পতি!
হে ভিক্ষু কোন ভুলে তুমি শিঙের পাত্রে রেখেছিল নুন?
যেখানে সঞ্চয়ের অপরাধ কট্টর হতে হতে
জন্ম দিল, সিঙ্গিলোণ কপ্পোর ধারা?


নিসীদন, তোমার কুয়াশায় কাটে
ঘনঘোর তেনজিন।
অথচ উপোষথ-শালায় আজ্ঞা ভেঙে গেলে
জেগে ওঠে চৈতন্য রত্নের কাহন।
আমি বলি শিথিল হও।
সোনারূপা ছুঁয়ে দেখে নাও দশবুত্থর
ধর্মবিরুদ্ধতা!


পাটা সিন্দুকের ভিতর ছিল গণিতের ভুল
যেখানে ভিক্ষুদের দানশীল ফোঁটা গুণে নেয় বছরের হিসেব
জেনে রাখো, পাটলিপুত্রের সংগীত
স্বীকার করেনি মহাসাংঘিকের দল
তবু বিনয় বলতে গেলে কর্মকে মানতে হয়।

Facebook Comments

পছন্দের বই