লেখক নয় , লেখাই মূলধন

অনির্বাণ সূর্যকান্তের গুচ্ছকবিতা

জরাসন্ধ- দ্য মেয়র, লিভ ইন দ্য বেডরুম এ্যাট ব্রোথেল


মাননীয় মেয়র, বুলডোজার অক্ষম হলে আগুন সক্ষম হয়ে উঠে। প্রেম অক্ষম হলে হিংসা সক্ষম হয়ে উঠে, শহরে বেহালা বাজালে যুদ্ধ ঝর্ণারা ফুলকি বিক্রি করে লাল তরমুজের মতো। ওড়নায় দিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে হাওয়াইমিঠাই। আহ্বান নাই আপনার, যাত্রাপালায় রাজার পাঠ করতে চান! সার্টিফিকেটেরও করুনা করার চোখ আছে।
পাহাড় ধস, নদী ভাঙন দেখলে মনে পড়ে যুগ যুগ নারীকে ভাঙার কথা, এই শহরের মেয়রদের লেখাপড়া বেশিদূর নয়, তাই জরায়ুতে কীটস ও ব্লগিং ফুল বিষয়ক গদ্য বোঝে না। বোঝে না ব্লু স্ট্রোকের ক্রুশবিদ্ধ লালপাড়ের শাড়ি।

আমাদের কবিতা পড়ার দরকার নেই
আমরা শুয়ে আছি
অনেক দিন পর আলতা কিনে না দেয়ার অভিমান নিয়ে কোনো ঘুড়ি আত্মহত্যা করলে জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মনে হয়।

কৈশোর পেরিয়ে এসে বুলডোজার ও আগুনের ভেতরে গোপণ মন্ত্রণার কথা বিরাটপর্ব পড়ে জানতে পারলাম।

২৮.১১.১৪২৬


জন্ম এক মরা ডালপালার অপহৃত ভাজ্য
অনবরত রাত হচ্ছে
অনবরত দিন হচ্ছে
দরজা থেকে ফিরে যাচ্ছে কারো হাতের দমকা লেখা।

কারো কারো স্ক্যান্ডাল বেড়ে যাচ্ছে, বয়সের আলাদা মূল্য আছে, মানুষের জিজ্ঞাসা আছে, বিষাদের অন্তর্বাস এক দুষ্ট অশ্ব।

কে জানে? লোভ এইডসের চাইতেও ভয়ংকর, পলিথিন চাইতেও ক্ষতিকর। ব্যর্থ ঈশ্বর প্রচুর রাত করে ঘরে ফিরে, সঙ্গম করার জন্য ভাজক নেই, অযুত মাংসাশী দাবানল জানে গার্মেন্টস ফেরত দুঃখের ভাগফল? বহুকাল নির্মম থাকার পর ১ টাকার মতো নিষিদ্ধ হয়ে আছি।

২৭.১১.১৪২৬


সিড়ি দিয়ে সকালে নামলেই এনকাউন্টারের ভাষা মনে পড়ে। নিভে যায় প্রজাপতির বিহার। পরকীয়ার কথা মানে পরের ভাষা নিজের করে বোনা। সাংকেতিক পাথরচাপা শব্দ। হতবাক করে দিয়ে ভাঙন শুরু করে ক্ষুধা।

২৬.১১.১৪২৬

মন্ত্রীসভায় শহুরে মেট্রো নিয়ে কথা হচ্ছে,
শীতকাল চলে গেলো,
বসন্তকাল আত্মহত্যার সময়, এটা কে বোঝাবে?

“লজ্জা নারীর ভূষণ” এই বাক্যটি অশ্লীল
“জনগন সকল ক্ষমতার উৎস” বাক্যটি লজ্জার।
আর এভাবেই সত্য পাচারের কথা সঠিকভাবে বাঙলার সংবিধানে লেখা হয়নি।

পছন্দের বই