লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

অরিত্র সোম

মৃতদেহ বাঁচিয়ে রাখো


লাথি মারার জন্য
মৃতদেহ বাঁচিয়ে রাখো অজিতেশ
হাতের কাছে ছোটো ছোটো মানুষের ভিড়
আরও ছোটো হতে হতে
আমাদের আয়ু ধরে নেমে যাচ্ছে
এ-শহর বৃক্ষশূন্য— পিপীলিকার আত্মহত্যা
এখনও ছুঁতে পারলে না
অজিতেশ


জানো না
শাদা শালু থেকে কেমন
একটার পর
একটা
নারীদেহ জড়িয়ে পড়ছে বুকের ওপর
ভুলে যাচ্ছি নিঃশ্বাস, টকটক স্বভাব
গা-টা শুঁকে অনেকক্ষণ আগেই
মঞ্চ থেকে বিদেয় নিয়েছে
                 কুকুরের দল
নির্বান্ধব স্বভাব— অজিতেশ তুমি
চাতালের পাশে উবু হয়ে কেটে নিচ্ছ ছক
আড়ালে নষ্ট পাঁইট, পাঁচ মিনিট পর
তোমার ভেতর সেঁধিয়ে যাবে…

এবং ভুলে যাচ্ছ চাকুর গল্প


জটা অহরহ, অখণ্ড মাতাল চিত্তে
চিতা ঘাঁটো— শুকনো আহ্লাদে
নৌকা এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়
ছায়া ভাসে; অজিতেশ

এখনও, সময় আছে?

শহুরে বুক খুলে তুমি দেখে নিতে পারো অপমান
যেভাবে প্রতিটা রাস্তার মোড়ে
খণ্ড খণ্ড লিফলেট বিলিয়ে গেছে মহাত্মা
যেভাবে আমরা সরতে সরতে বেছে নিয়েছি
চটচটে আঠালো কোণ
একটা চেয়ার, ব্যর্থ কবিতা, নাইলন…

অজস্র মুটে-মজুরের দেশে, আমাদের হাত থেকে
এভাবেই ঝরে পড়ছে
রক্তোন্মাদ ছারপোকা

অন্ধ মুহূর্তের কথা

এখানে স্বাধীন রাত। তোমার দরোজার সামনে, ব্রণপড়া পায়রার সমাধি।
সবই দেখতে পাচ্ছ— কিন্তু এই মুহূর্তে
নেমে আসার
সাহস
               কেউ দিচ্ছে না।
ঘুমোতে চাইছ; কেউ তোমায় বুঝিয়ে দিচ্ছে না
নীহারিকার স্বপ্ন।
এলোমেলো পাতা জুড়ে অস্থির অবগাহন সহ্য করতে করতে
মাটি ভাগ হচ্ছে।
আমি বুঝতে পারছি বলে পার্সেলে লিখে দিচ্ছি নতুন বইয়ের নাম।
কালো পোশাক তোমার— মহাপয়ার— এবং
আয়নার দিকে তাকিয়ে
তুমি টেলিফোনে কেটে দিচ্ছ মুহূর্ত

নীহারিকার জন্ম হবে। কানে কানে এটুকু বলব বলে
এখনও

দূরত্বে, জেগে আছি

নির্বাক-১

সমস্ত কালো থেকে সাদা সরিয়ে নিলে
যেটা পড়ে থাকে

একটা গাছতলায় দাঁড়িয়ে— আমি শুধু
তার কথা ভাবছি

নির্বাক-২

একটা ক্লান্ত গ্রামোফোন

ধুলোয়
উড়ে
যাচ্ছে

 

Facebook Comments

পছন্দের বই