Categories
কবিতা

সৌভিক গুহসরকারের

বেকারের বারোমাস‍্যা থেকে


কবির বড়ো বাড়ি নয়
তরবারি চাই


ঘষতে থাকা ভালো
ঘষতে ঘষতে পরাজিত পাথরেও আগুন জ্বলে ওঠে

Categories
কবিতা

বুদ্ধদেব হালদারের গুচ্ছকবিতা

সাইকো


এবারের ডিসেম্বরের কথা তুমি ভুলে যেও না যেন? যদিও
ভীষণ দাড়িগোঁফ বেড়ে গেছে আমার। চুলে খুশকিও হইয়াছে
প্রবল। তবুও আমাদের এখনই কিছু প্রেমের কবিতা লিখে রাখা

Categories
কবিতা

অমিতরূপ চক্রবর্তী’র গুচ্ছকবিতা

২৫ শে জানুয়ারী

এমনই একদিন ঝুরি ঝুরি রোদ আর স্বাভাবিক লতাপাতার মধ্যে ইচ্ছের সংজ্ঞা বদলে যায়। তীর্যক হাত এসে পড়ে থাকে আরেকটি হাতের সীমায়। পাখি ডাকে। কামাতুর রং ছড়িয়ে পড়ে পশমের মতো রোদের মধ্যে। মাথায় টিনের টোপর পরা সব ঘরবাড়ি, গাঢ় দাগ রেখে বয়ে যাওয়া দুর্দিন— সুদিন, যোনি আর লিঙ্গের বোঝাপড়া। এমনই একদিন ন্যায্য— অন্যায্য তর্কের মধ্যে ইচ্ছের সংজ্ঞা বদলে যায়

Categories
গদ্য

কুন্তল কোলের গদ্য

এই দুটো গল্প আমি উৎসর্গ করলাম আমার প্রিয় বাথরুমকে


তুমি অনুভব করো সেই হাগাটা যেটা আমি করে উঠতে পারিনি…

কে যেন পায়ের তলায় জ্বালানো সিগারেট ফেলে চলে গ‍্যাছে— না দেখে ফেলে দিলাম পা— বলে উঠলাম উউউউ— কিছুক্ষণের মধ্যেই চামড়াটা ফুলে গেল— জল জমল তার ভিতর— তৎক্ষণাৎ সেফটিপিন দিয়ে উসকে দিলাম— দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে—

Categories
কবিতা

সুদীপ ব্যানার্জীর কবিতা

স্ক্র‍্যাপবুকে পাখি উড়ে এল


ঘুম পেত বলে বকতে তখন। এখন ঘুমোই নিজের ইচ্ছায়। দেখো কত অবসর এই সী-বিচে। সামনে স্রোত আছড়ে পড়ছে।

Categories
কবিতা

উজ্জ্বল ঘোষের গুচ্ছকবিতা

গুরু

শ্মশানের চিতা জ্বলছে
একাগ্র রাত্রি নিচ্ছে পাঠ
চোখের মণিতে হচ্ছে হোম

আমাকেও জ্বলতে হবে

Categories
গল্প

শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের গল্প

মাগুর

সজনে পাড়তে লম্বা বাঁশের ডগায় কাচিয়া দাঁও বেঁধে নিয়েছে শরিফ। রান্নাঘরের ছোটো জানালা দিয়ে এ-সব দৃৃৃশ্য আমি দেখছি। বাঁশের আগালি ফাঁটিয়ে সামান্য ফাঁক করে নিয়েছে ও। ওটা সজনেডাঁটার একই বৃন্তকে ফ্যাঁচাকলে আটকানোর কৌশলগত প্রক্রিয়া। আর ফ্যাঁচাকলের সামান্য নীচে চকচকে ধার দেওয়া কাচিয়া দাঁও। সেটা দিয়ে সজনে পারার পর ডালগুলোকে কেটে মাটিতে ফেলা হবে।

Categories
কবিতা

বিশ্বজিৎ মাহাতের কবিতা

যে দিক নীরব


ধৈর্য্যকে ফেরাতে গিয়ে অধৈর্য্য কোপাল
যেমন মাছের সঙ্গে জলের সঙ্গম, দেখো,
অস্থির হয়েছে লালা
মাছরাঙা এখনও কীভাবে

Categories
গদ্য

প্রলয় মুখার্জীর গদ্য

ভ্রমণ আমার মেয়ের নাম

মেয়ের দেখা

আজ প্রথম ও কাঁঠাল দেখেছে। ধূসর বাদামি গুঁড়ির গায়ে প্রেত পূর্ণিমার মতো শিশু কাঁঠাল। গুঁড়ির গায়ে গায়ে কণ্টক আরতি। কচি কচি ধুমকেতু নিকষ সন্ধ্যার মতো গুঁড়ির গায়ে লেগে রয়েছে। অজস্র অজস্র। এই আমার তিনমাস পনেরো দিনের মেয়ে। কানে টগরের দুল। সে দেখে ফেলেছে শিশু কাঁঠালের গায়ে দু একটি টুনটুনি লন্ঠন।

Categories
কবিতা

সেলিম মল্লিকের গুচ্ছকবিতা

কারা গান গাইছে

স্বপ্নে দেখছি একটা খেত—
গম পেকে থিকথিক করছে,
কালো-ডানা-মেলা পাখিরা
বাতাসের নীচু স্তরে