বেকারের বারোমাস্যা থেকে
১
কবির বড়ো বাড়ি নয়
তরবারি চাই
২
ঘষতে থাকা ভালো
ঘষতে ঘষতে পরাজিত পাথরেও আগুন জ্বলে ওঠে
২৫ শে জানুয়ারী
এমনই একদিন ঝুরি ঝুরি রোদ আর স্বাভাবিক লতাপাতার মধ্যে ইচ্ছের সংজ্ঞা বদলে যায়। তীর্যক হাত এসে পড়ে থাকে আরেকটি হাতের সীমায়। পাখি ডাকে। কামাতুর রং ছড়িয়ে পড়ে পশমের মতো রোদের মধ্যে। মাথায় টিনের টোপর পরা সব ঘরবাড়ি, গাঢ় দাগ রেখে বয়ে যাওয়া দুর্দিন— সুদিন, যোনি আর লিঙ্গের বোঝাপড়া। এমনই একদিন ন্যায্য— অন্যায্য তর্কের মধ্যে ইচ্ছের সংজ্ঞা বদলে যায়
এই দুটো গল্প আমি উৎসর্গ করলাম আমার প্রিয় বাথরুমকে
১
তুমি অনুভব করো সেই হাগাটা যেটা আমি করে উঠতে পারিনি…
কে যেন পায়ের তলায় জ্বালানো সিগারেট ফেলে চলে গ্যাছে— না দেখে ফেলে দিলাম পা— বলে উঠলাম উউউউ— কিছুক্ষণের মধ্যেই চামড়াটা ফুলে গেল— জল জমল তার ভিতর— তৎক্ষণাৎ সেফটিপিন দিয়ে উসকে দিলাম— দু ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে—
মাগুর
সজনে পাড়তে লম্বা বাঁশের ডগায় কাচিয়া দাঁও বেঁধে নিয়েছে শরিফ। রান্নাঘরের ছোটো জানালা দিয়ে এ-সব দৃৃৃশ্য আমি দেখছি। বাঁশের আগালি ফাঁটিয়ে সামান্য ফাঁক করে নিয়েছে ও। ওটা সজনেডাঁটার একই বৃন্তকে ফ্যাঁচাকলে আটকানোর কৌশলগত প্রক্রিয়া। আর ফ্যাঁচাকলের সামান্য নীচে চকচকে ধার দেওয়া কাচিয়া দাঁও। সেটা দিয়ে সজনে পারার পর ডালগুলোকে কেটে মাটিতে ফেলা হবে।
ভ্রমণ আমার মেয়ের নাম
মেয়ের দেখা
আজ প্রথম ও কাঁঠাল দেখেছে। ধূসর বাদামি গুঁড়ির গায়ে প্রেত পূর্ণিমার মতো শিশু কাঁঠাল। গুঁড়ির গায়ে গায়ে কণ্টক আরতি। কচি কচি ধুমকেতু নিকষ সন্ধ্যার মতো গুঁড়ির গায়ে লেগে রয়েছে। অজস্র অজস্র। এই আমার তিনমাস পনেরো দিনের মেয়ে। কানে টগরের দুল। সে দেখে ফেলেছে শিশু কাঁঠালের গায়ে দু একটি টুনটুনি লন্ঠন।