দুপুরের বন্ধন
কখনো এমন হয়, পাতাঝরা আইলের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের মনে পড়ে—দক্ষিণের বাতাস চলে গেছে কতদিন আগে, কতদিন আগে পৃথিবীর বেহুলা নারী নিয়ে গেছে দূর রূপকথা, ভাসানের অবছিন্ন আলোয় থেমে গেছে রজনীল হাওয়া—
কুহকের লেখা ও অন্যান্য গদ্য
কুহকের লেখা
একটা কুহক নিয়ে জন্মেছি যেন। যত এগোচ্ছি কেমন অদ্ভুত দৃশ্য খুঁজে পাচ্ছি। পর্দা সরালেই জগতের বাহার। মাংস অদলবদল হওয়ার কারিগর হয়ে উঠছি ক্রমে। কেন কী কারণ— এ-সব নয় মানুষের শরীরে এইসব বার্তা মানায় না। সংশয় যখন তৈরি হতে থাকে একটা তীর্যক জীবনের রহস্য খুলে আসে। কেউ কাউকে ক্ষতি করছে না।
গ্রামীণ বাংলার শিল্পসত্তা ও নারীমননের সুচারু দিকটি উঠে আসে ‘কাঁথা’-র গায়ে
পল্লিকবি জসীমউদ্দিনের বিখ্যাত ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ কবিতায় সাজু ও রুপাইয়ের অমর প্রেমকাহিনির মাঝে রুপাইয়ের নিরুদ্দেশের উদ্দেশে সাজু যখন বলে— ‘মা, আমার মরণের পরে যেখানে কবর দেওয়া হবে, সেই কবরের ওপরে যেন এই নকশি কাঁথাখানা বিছিয়ে দেওয়া হয়।