মুখোমুখি
ক্ষমা কোরো না আমায়
এই যে নতমুখে তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াই
এটাই কম কি পাওয়া বলো!
এই সুযোগ, এই দৃশ্য
অনেক দূর থেকে বিগ্রহের মতো দেখায়
জীবন, কতকিছুর নিবেদন
আমাদের অতৃপ্ত বোঝাবুঝি, অলক্ষ্যে ধর্ম হয়ে যায়
গোলকধাঁধা শব্দটি সুপরিচিত। একবিংশ শতকের ফ্ল্যাট কালচারের আবহে দাঁড়িয়ে থাকা আমরা প্রাচীন যুগের শ’দুয়ারি ভাঙাচোরা জমিদার বাড়ির মুখোমুখি হলে মনে মনে অনেকেই বলে ফেলি, কি পেল্লায়! একেবারে গোলকধাঁধা। প্রকৃত অর্থেই গোলোকধাম আশ্চর্য এক ধাঁধা। ধাঁধা কখনও ‘রহস্য’ অর্থে, কখনও জটিলতা অর্থে।
আত্মপ্রতিকৃতি: পরাবাস্তববাদী নারী শিল্পীদের চোখে
পরাবাস্তববাদই সম্ভবত প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন যেখানে নারীকে দূরতম কোনো নক্ষত্রের আলোর মতো, প্রেরণা ও পরিত্রাণের মতো, কল্পনার দেবী প্রতিমার মতো পবিত্র এক অবস্থান দেওয়া হয়েছিল। নারী তাদের চোখে একই সাথে পবিত্র কুমারী, দেবদূত আবার একই সাথে মোহিনী জাদুকরী, ইন্দ্রিয় উদ্দীপক ও নিয়তির মতো অপ্রতিরোধ্য।
বিগত ৭৩ বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক পরিস্থিতিকে ইস্যুটি সবচেয়ে প্রভাবিত করে এসেছে ‘কাশ্মীর’ ইস্যু। দীর্ঘ সময় ধরে কাশ্মীর উপমহাদেশের এক অমীমাংসিত শব্দ যার জন্য ভারত বা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নীতি তো ছাড়ুন সার্কের মতো আঞ্চলিক সংঘও সফল হতে পারল না। সম্প্রতি সেই কাশ্মীর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত দু’টি সাংবিধানিক অংশ সংশোধন করা নিয়ে পুনরায় কাশ্মীরের উপর বিশ্ববাসীর নজর পড়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
পাঁচ পঙ্ক্তির পৃথিবী
যক্ষ্মা, এই রোগটির খুব প্রিয় কবিদের ফুসফুস, সেখানে বাসা বাঁধে, বেড়ে ওঠে, তৈরি করে নিঃসীম ক্ষত। কত যে কবি ভুগেছেন, ক্ষয়ে গেছেন, প্রয়াত হয়েছেন যক্ষ্মায়!
৮ অক্টোবর, ১৯১৪। নিউইয়র্ক, রোচেস্টার। ৩৬ বছরের এক ভদ্রমহিলা মারা গেলেন এই অসুখে। পরের বছর ম্যানাস প্রেস প্রকাশ করল তাঁর একটি কবিতার বই ‘Verse’.
উর্দু সাহিত্যের অন্যতম একজন মাইলস্টোন হলেন ইসমত চুগতাই (১৯১৫-৯১)। তাঁর ছ’টি গল্পগ্রন্থ এবং দশটি উপন্যাস রয়েছে। আছে আত্মজীবনীমূলক রচনাও। ইসমত চুগতাই সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় উচ্চতর শিক্ষালাভ করেছিলেন। তিনি একজন প্রগতিশীল লেখিকা, মেয়েদের ওপর অত্যাচারের কথা তাঁর বহু গল্পে আছে। তৎকালীন সময়ে মেয়েদের নিয়ে লেখালেখি করা সত্যিই ছিল সাহসিকতার পরিচয়।
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না। নামের পদবি, চরিত্র নিয়ে খোঁচা তো আছেই, তিনি যে-কথা বলেন তা নিয়েও প্রায়শই কটুকাটব্য চলে। নিন্দুকেরা অধিকাংশই আবার জানাতে ভোলেন না যে, এতদসত্ত্বেও তারা কিন্তু সুমনের গানের ভক্ত। কেউ কেউ আবার পিপিং টমদের মতো বেডরুমে উঁকি মারার ঢঙে নানা কথা ভাবেন— কারণ, Morality-র বিচার তাদের মতে জরুরি। আর কে না জানে, Morality is essentially sexual morality. ‘গানের সুমন’, ‘রাজনীতির সুমন’ ‘মরালিস্ট সুমন’—শিল্পী সুমনকে এমন খণ্ড খণ্ড করে দেখার প্রবণতাই সর্বাধিক।
তখন বোধহয় ক্লাস সিক্স। থার্ড বেঞ্চে বসে সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক কষতে ব্যস্ত ক্লাসের ফার্স্ট বয়। চক হাতে বিজনবাবু। দুপুরের রোদটা চু-কিত্কিত্ খেলছে অঙ্কের বইয়ের সঙ্গে। ক্লাসে অঙ্ক পারলে বুকের ভেতর একটা আনন্দ ঠেলে বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়। ফার্স্ট বয় ও বা ব্যতিক্রম হবে কেন। সেও অঙ্ক পারার আনন্দে হঠাৎই বলে উঠল ‘পক্যাও’।