[১৬ আগস্ট, ১৯২০-৯ মার্চ ১৯৯৪। জার্মান-আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটোগল্প লেখক। ‘ডার্টি রিয়ালিজম’ এবং ‘ট্রান্সগ্রেসিভ ফিকশন’ আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
Category: অনুবাদ
[সাইমন জে ওর্টিজ আমেরিকান আকোমা পুয়েবলো জনজাতির কবি। জন্ম ২৭ মে ১৯৪১ । কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, গদ্য লেখক। নেটিভ আমেরিকান লেখকদের দ্বিতীয় ঢেউ যে রেনেশাঁ আনে তিনি তার অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর কবিতা গল্প গদ্যের ছত্রে ছত্রে আকোমা পুয়েবলো জনজাতির মুখ ফেরতা সাহিত্য, লোককথা, উপকথা। নতুন আঙ্গিক ও টেকনিকে তিনি বিষয়গুলি নিয়ে আসেন।
প্রবঞ্চকর
আমি প্রবঞ্চক, এ কথাই বলছিলাম নিজেকে। গভীর রাতে প্রশ্ন করি, আমি কে? বলি ও! তুমি প্রবঞ্চক মাত্র। মাদাগাস্কার জঙ্গল এ কথাই তো শেখায় প্রতিদিন। একটি নীল লেমুর তন্দ্রাচ্ছন্ন কুয়াশার ভিতর আড়াআড়ি ছুটে যায় যখন, চেরি ফলের চেয়ে লাল টকটকে ক্যামিলিয়ন দু’টি বাওয়াবের নিদ্রাকাতর শাখায় ক্ষণকাল সঙ্গমরত, এই পৃথিবী সুন্দর লাগে।
নভেম্বর ইজ দ্য মান্থ অফ মাইগ্রেশনস
ভাষান্তর: রমিত দে
(জন্মসূত্রে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর সাঁওতাল এবং সাঁওতালী জীবনের অস্তিত্বের প্রশ্নগুলিই বারবার তার গল্পে অনুরণিত হয়েছে। বারেবারে একজন গল্পকার তার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে পাঠককে মুখোমুখি করিয়েছেন প্রান্তিক মানুষের নির্বাসিত জীবনের। এমনকি তার প্রথম উপন্যাস-‘রুপি বাস্কের অদ্ভুত অসুখ”এর মুখবন্ধে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর যখন লেখেন –‘ এটি ইংরেজিতে লিখিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাঁওতাল উপন্যাস’ তখন বোঝা যায় কিভাবে তার যাপনে জড়িয়ে রয়েছে নিজস্ব জাতিসত্ত্বার ভাষ্যগুলো। এই উপন্যাসের জন্যই হাঁসদা শৌভেন্দু শেখর ২০১৫ সালের যুব সাহিত্য আকাদেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন এবং ২০১৪ সালের ‘ক্রশওয়ার্ড বুক এওয়ার্ড ও হিন্দু লিটেরারি এওয়ার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত হন। )

(স্পেনের ফ্যাসিবিরোধী কবি মিগুয়েল হারনানদেজ (১৯১০-১৯৪২)। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্পেনের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও প্রতিক্রিয়াশীল শাসকের হাতে বন্দি হন। নিদারুণ যন্ত্রণাময় জেলজীবন সহ্য করতে না পেরে জেলেই যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান কবি। অতি সাধারণ গরিব পরিবারের ছেলে ছিলেন মিগুয়েল। কমিউনিস্ট হয়েছিলেন।

ভয়ের অন্ধকার
ভাষান্তর: কবির দেব
একটা ব্যস্ত দিন — সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো অবদি— সদর হাসপাতালে, যখন আমার চারটে বিভাগ একসঙ্গে দেখতে হচ্ছিল, ঠিক তখনই হাসপাতালের সুপার আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমার কেবিনের সামনে একটা বেস ভালো ভিড় জমেছে— একটা অবশ ভিড় যা আমাদের কোনো অনুরোধ মানতে পারছে না অথবা চাইছে না যাতে এই হাসপাতালে একটা শান্তি বজায় থাকে। আমি তাদের কে বললাম যে আমি খুব শিগগিরই আসছি। এই বলে আমি ও.পি.ডি থেকে বেড়িয়ে চলে গেলাম।