স্কুলজীবনেই যাকে আধুনিক মনের মানুষ বলে জেনেছিলাম
প্রাবন্ধিক, বাংলা ভাষার সাহিত্যের ক্রিটিক পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন। তিনি ছিলেন পাকা হাতের সমালোচক। তাঁকে চিনতাম নৈহাটির সেই স্কুলজীবন থেকে। আমাদের বাংলা ক্লাস নিতেন। পরবর্তীতে তাঁকে নিয়মিত ব্রিজ পেরিয়ে নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজে আসতে দেখতাম, তখন তিনি কলেজ-শিক্ষক। তাঁর পোশাক, পথচলা, ধারালো দৃষ্টি, কথা বলার ঢং— সবই আমাদের কাছে ছিল আকর্ষণের বিষয়বস্তু। মনে মনে ভেবে নিতাম— যেন সাহিত্য জগতের উত্তমকুমার। গ্রাম্য স্বভাবের লোকজনেরা পার্থবাবুকে আঁতেল বলে ঠাট্টা করতেন বটে, কিন্তু সে আঁতলামিতেই আমরা জীবনভাবনার দিশা পেতাম। স্মার্টনেস কথাটা নিয়ে তখন আমরা প্রায় লোফালুফি খেলার স্বভাবে মজে থাকতাম। স্মার্ট কথার ব্যাখ্যা জানতাম না। উত্তমকুমার বলতে বুঝতাম স্মার্টনেস। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ তখনও পড়িনি, স্টাইল আর ফ্যাশনের পার্থক্য জানব কেমন করে? তবে বেশভূষা কিংবা চালচলন বুদ্ধিদীপ্ত হলে তাকে স্মার্ট ভেবে নিতাম।