সেইসব গল্প, যা অন্ধকারের
রাত গড়িয়ে যে-কোনো মুহূর্তে ভোর ফুটে উঠবে, এমন সময়ই অসীমের মনে কথাটা উদয় হল। যদিও অসীম রাত চেনে—
টানা দুই দিন দুই রাত ধরে হাঁটছি। শরীর এখন সামনের দিকে কিছুতেই এগুতে চাইছে না। তখনও সূর্যকে ক্লান্ত অবিশ্রান্ত লাগেনি। কিন্তু ক্লান্ত-অবিশ্রান্ত আমার চোখে রাজ্যের ঘুম। নিজেকে মাটিতে বিছিয়ে দিলাম। সূর্য বিশ্রাম শেষ করে কপালে আলোর স্ফুরণ ফেলে। আড়মোড় ভেঙে হাঁটতে শুরু করি আবার। পলক ঘুরতেই দেখি একটি বিড়াল আমার ছায়ায় হাঁটছে। বিষণ্নতা কাঁটিয়ে, কৌতূহল থমকে দেয়; দাঁড়াই।
শ্মশানসম্ভব
কিংবদন্তী ভেসে বেড়ায় হাওয়ায়-হাওয়ায়: এই শ্মশানে চিতার আগুন কখনো নেভে না। এই ঘাট মণিকর্ণিকার। এই জনপদ বহু প্রাচীন বললে আদতে কিছুই বলা হয় না; বস্তুত, এখানে মানুষের সভ্যতার ইতিহাস, প্রথমাবধি, বিচ্ছেদবিহীন। সতীর মৃতদেহের একান্ন খণ্ডের শেষে, বেঁচে থাকা অবশিষ্টাংশ, এখানেই দাহ করেছিল মহাদেব, তাই এই মহাশ্মশানের আগুন জ্বলে চলে অনির্বাণ— এমন কত-না গল্প এখনও ভেসে বেড়ায় এখানকার বায়ুমণ্ডলে।
এইসব গ্রামীণ ঠেক
উপেন খুড়ো চায়ের দোকানের প্রভাতি আসরে, ঠিক চায়ের দোকানও নয়, আসলে গ্রামের একমাত্র মিষ্টির দোকান, আগে লোকে বাড়িতে অতিথি এলে, তবে চায়ের ব্যবস্থাও আছে, অনেকেই পুরি-তরকারি, মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল, এখন ছাড় যেহেতু, অন্তত হাফবেলা, ফলে সকালের এই সময়টুকু, সেই কবে থেকে অভ্যাস, সবকিছু তুড়ি মেরে উড়িয়ে, অনেকেই বাড়ি থেকে এক-দুই-তিন-চার, বাজারও তো বসে,