Categories
বুক রিভিউ

কৌশিক মিত্রের নিবন্ধ

ইলিশ মারির চর: একটি পৃথক সন্ধানে

“পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার মরশুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনো সময়েই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে–নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় ম্লান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সংকেতের মতো সঞ্চালিত হয়। একসময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়।

Categories
বুক রিভিউ

শরীরে সংগীত রেখো: মনোজ দে— চিত্তরঞ্জন হীরা

বেজে ওঠার আগেই যে বাজলো: মনোজ দে’র কবিতা

নিঃশব্দ কবির সব সময় প্রিয়‌। প্রতিটি রচনাই নৈঃশব্দ্য থেকে সাদা পাতায় এসে বসে। কিন্তু সে যখন মাথুর হয়ে ওঠে! মূল প্রশ্নটা এখানেই। মনোজ, তোমার কবিতা শুধু বাজে। ভেতরে বাজে। কিন্তু যদি বলা হয় লিরিকাল! হয়তো ঠিক বলা হবে না। কিছুটা মিউজিক্যাল না শুধুই প্রেমের কবিতা! হয়তো তাও সব বলা হল না।

Categories
বুক রিভিউ

অনুপম মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পর্ণমোচী’ নিয়ে লিখছেন শানু চৌধুরী

অনুপম, পর্ণমোচী ও খসাজল

ধরুন syllogism অনুযায়ী তিনটে বৃত্ত আঁকলাম। প্রথম বৃত্তটি প্রেম, দ্বিতীয় বৃত্তটি যৌনতা ও তৃতীয় বৃত্তটি রাজনীতি। তাহলে দেখতে পাব তিনটি  বৃত্তের মধ্যবর্তী অংশটি অঙ্গাঙ্গীভাবে, ছুৎমার্গহীনভাবে জড়িয়ে আছে সমাজ নামের একটি বিরাট বৃত্তের কোলে। ‘পর্ণমোচী’–র দৃষ্টিকোণ এটাই। ‘পর্ণমোচী’ তার সোশ্যাল বক্তব্যগুলিকে ছুঁড়ে দিয়েছে পাঠকের কাছে এবং বলতে চেয়েছে এই হলো মোহ এবং ক্রাইসিসের জাল। এবার পাঠক ওই জালটির প্রতি কতটা প্রতিক্রিয়াশীল ছিঁড়ে বেরোতে বা ব্যবহারিক প্রয়োগে তার দায়ভার পাঠকের নিজের হাতেই। দহের বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে লেখক বলে দিচ্ছেন জীবন, মহাজীবন ও অতিজীবনের ফলময়রূপ। বলতে চাইছেন সমাজ আজও জাতি-গোত্রের সীমা, অসীমকে encroach করতে অক্ষম।