Categories
কবিতা

অরিত্র চ্যাটার্জি’র কবিতা

ডাইরি ৪৯

আমি ভেবে ছিলাম একটা ছিমছাম কবিতা লিখব
নারকেল পাতার ওপর যেমন নিপুণভাবে কেটেকুটে যায়
বিকেলের ফালি রোদ, অনেকটা সেরকম

Categories
কবিতা

রাহুল গাঙ্গুলীর শব্দরূপ

দৃশ্যকল্পনের নি|রাকার কাঠামো ~ কিছু উপলব্ধি

ভাষাবিদদের গবেষণা ও মতামত অনুযায়ী: ভাষার কেন্দ্রচরিত্রে থাকা শব্দের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য মূলত দুটি। প্রথমটি হল ধ্বনি এবং দ্বিতীয়টি হল দৃশ্য। ধ্বনি হল, যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাথমিক এবং আদিমতম রূপ। যাকে বিশ্লেষণ করে, সম্ভাব্য দ্বিমাত্রিকতায় রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকে অক্ষর এবং যাকে আবার জোড়া লাগিয়ে শব্দ তৈরি করার প্রচেষ্টা থেকে দৃশ্য।

Categories
কবিতা

সঞ্চিতা দাসের কবিতা

সময়

মাথার ওপর কালো আকাশ
অসংখ্য গ্রহ,
কোথাও কোনো শব্দ নেই,
গাছের পাতার দোলা নেই
যতদূর চোখ যায় নেই কোনো প্রাণ

Categories
কবিতা

সৌমনা দাশগুপ্তের কবিতা

ছায়াশলাকার ঘর

অ্যাসিডবৃষ্টি। ভিজে যাচ্ছে মহাফেজখানা। দেহ এক হাড়ের দলিল। দেহ এক অস্থাবর ভূর্জপত্র। সেঁকে নাও। তুলো উড়িয়ে দিতে দিতে হাসিতে ভেঙে পড়ছে বালিশ।

Categories
কবিতা

অমরশঙ্কর দত্তের কবিতা

লবণ

লবন একটি হ্রদের নাম
লবন একটি সূত্রের নাম
তবু
‘লবণ-রাজত্ব’
মাঝের হাইফেন তুলে নিলে

Categories
কবিতা

সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

উন্মাদের দিনলিপি


শীতঘুমের ভেতর জোর করে ঢুকে যাচ্ছে বিষণ্ণ সানাই। আবহে কেউ কোথাও নেই। জলে ভিজে যাওয়া কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস— হাতড়ে হাতড়ে তুলে আনছে মৃত নদীটির যোনিরোম। এ সবই চিত্রকল্প। বালিহাঁসদের পালক দিয়ে তুমিও নিশানা করেছ দিগন্তের রং।

Categories
অনুবাদ কবিতা

ন্‌কাতেকো মাসিঙ্গা-র কবিতা

ভাষান্তর: অনিন্দ্য রায়

সৃষ্টিতত্ত্ব

চ্যাপেলে ঢোকার পথে
মোজেইক রয়েছে মেঝেয়

মোজেইক মানে টুকরোদের জুড়ে বানানো একটা ছবি
মোজেইক মানে মোজেসের

Categories
কবিতা

সেলিম মণ্ডলের কবিতা

পাখি সব করে রব


নাচের স্কুলে তুমি কোন ময়ূর
মেঘ ডাকার আগেই ভুলে যাও পেখম তুলতে?


সেই হাঁড়িচাচাকে কি আজ খুঁজে পাওয়া যাবে

Categories
কবিতা

পঙ্কজ চক্রবর্তীর কবিতা

অভিশাপ

এড়াতে পারি না এই ঝোপঝাড় সবংশ এসেছে। আমার স্নায়ুর ভিতর পায়চারি করে সন্দেহজনক আলো। কাঁটায় কাঁটায় মানুষের মতো প্রত‍্যাখ‍্যান।

Categories
কবিতা

সৌমাভের গুচ্ছকবিতা

হ্যারিকেন

বাড়ির প্ৰাচীন হ্যারিকেনটির নাম ছিল শিব,
সাদাসিদে গোলগাল শান্ত সমাহিত সৌষ্ঠব,
ঝুপ করে নেমে আসত সন্ধেবেলায় পড়ার ঘরে,
শিবঠাকুরের চারদিকে আমরা গোল হয়ে বসতাম,