কোকিল
অতটা আত্মহত্যা চায়নি লক্ষ্মণরেখাটিও—
কেন তবে দোলালে ঈগলের চোখ?
আমাকে সযত্নে বাজিয়ে বাজিয়ে মেঘমল্লার!
তোমাকে আয়না ভাবলে পুড়ে যায় তামাম রক্ত
১
এক সন্ধ্যায় পুরোনো জামাকে নিজের আয়তনে সেলাই করছি। আঙুলের ডগায় ছুঁচ ফুটল। রক্তমাখা সাপটা শিরাকে পেঁচিয়ে রাখলো। অদৃশ্য তলোয়ার এসে আমূলে গেঁথে গেল খোলসে। উঠে দাঁড়ালাম আয়নার সামনে। দেখছি, মুখোশ খসে পড়ে উড়ে গেল নীরবতায়। গরাদে কালো রাত নামলে আমরা ঘুমিয়ে যাই। জেগে থাকে নগ্ন বিছানা। পরাঙ্মুখ চেতনাকে দিলাম শেষ বসন। ছাই ছাড়া আর কিছুই নেই।
নিষেধাজ্ঞা
নিষেধাজ্ঞা জারী হলো, আমার মুখের দিকে তুমি তাকিয়ো না। এই যে উচুঁ- নিঁচু খানা-খন্দক, পাহাড়-পর্বত, আলোর তীব্র ঝলকানি, তুমি পা পিছলে পড়ে যেতে পারো। জানো তো, আমার চোয়ালে রাগী পিপঁড়েদের বাসা। চোখের ভেতর সমুদ্র। তুমি স্নানের বাসনা নিয়ে খুলে ফেললে বুকের কাঁচুলি, আমার ভীষণ ভয় করে। আমি কাউকে বলি না, তোমার প্রেমে পড়ার স্বভাবে মৃত্যু আসে।