Category: কবিতা

বেপরোয়া রাত্রিগুলি

আর কোনো ইশারায় তোমাকে ডাকতে চাই না, চাই যে
খরস্রোতা আমার নিশ্বাস আছড়ে পড়ুক
তোমার স্নায়ুর সূক্ষ্ম বুননে।
ঈষৎ হেলানো হিজল গাছ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

ঘুম

মাঝেমাঝে ভাবি ঘুমিয়ে পড়ব এবার
স্বপ্ন দেখব
স্বপ্নে সব ভাঙা জুড়ে দেওয়া যায় সহজে
খুব সহজে ছুঁয়ে থাকা যায় প্রতিবেশির হাত

মাধুকরি

১
যখনই বৃষ্টি পড়ে, আমি
যমুনার চরে রাত বসত করাই
যমুনা ফকিরি জানে ভালো
আঁজলা ভরা মাধুকরি—

আঙুল সিরিজ

বৃদ্ধাঙ্গুলি

তুমি ভালো ভাবেই জানো, অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরেছে
তাই বলে রাখছি: আমার সাথে ইয়ার্কি ছেড়ে,
ভেবে চিন্তে কথা বলো
তুমি শাসক অথবা বিরোধী— যেই হও!

১
রাক্ষসবর্গে জন্ম। তার সন্ধ্যাতারায় দাগ ছিল করতলে জরুল,
মুকুল
শুকায়ে রয়েছে তারপর থেকে, ঝরে না, বর্ষে বর্ষে ফল,
ধরে না,
গাছপালা আপামর শুধুমাত্র ভীত স্মৃতি হয়ে

ইঁদুরমঙ্গল ও টম হ্যাঙ্কস

১
অসহায় খ্রিস্টকে কোমরভরতি জলে নামিয়ে দাও। ভাঙা ইংরেজি। ঠোঁটের জাহাজ। পশুজন্ম। ফেরিঘাটে হাহাকারময় ট্রান্সপোর্টেশন। সকালের ট্রেনে তুমি চলে গেলে। এখন তুমি কবিতা হয়ে মাংসের বক্সে যাও।

ঠাকুমা

হেমন্ত শেষের রোদ্দুর
ক্রমশ নরম হয়ে আসে।
বাতাসে শীতের মৃদু সুর
ভাসিয়ে ধুনুরি যায় আসে।

নদীকেন্দ্রিক

জানালা জুড়ে স্নানঘর
কে যেন খুলে দিয়ে গেছে কলঘরের জ্যোোৎস্না

ভেসে গেছে প্রলাপ
অসুখ রাঙানো উঠানে শুশ্রূষা নিয়ে ফোটে বেদানা বাগান

লকডাউনের কবিতা 

সংক্রমণ

কখন যে চলে গেছ, ডাক্তার দেখে বলে—
ঘণ্টাখানেক…
ভাড়াটে মেয়েটি এসে জল দিয়েছিল
বুঝিনি তখনও লেশ।

টিমবুকটু
ঋণ – Timbuktu journey to the empire of knowledge

১
বালির ভিতর ডুবে আছে চটি-জোৎস্না
যে জোৎস্না লুকিয়ে রেখেছিল সাহারার প্রবেশটুকু
সেখানে প্রচুর আলখাল্লা হতে কে যেন দ্যাখে