Category: কবিতা

কোয়ারেন্টাইন

১
বদ্ধ সময়ের ইশারা হিলহিলে ছুটে যাচ্ছে
বিষ থেকে ফণার দিকে

২
দেওয়ালের গণ্ডিতে আটকে আমরা

সিনেমাওয়ালা

প্রেম-পরিণয়ের সিনেমা, থ্রিলার— আমাকে টানে না তেমন। বরং খুব মন কেমন করা সিনেমা দেখতে ইচ্ছে করে। যা দেখতে দেখতে জলতেষ্টা পাবে খুব, পরিত্যক্ত নলকূপের মতো হায় হায় করে কেঁদে উঠতেই একে একে উঠে আসবে এমন অদ্ভুত সব দৃশ্য—

বাতেলা

১
আবিষ্কার ভুলে গেছি—
পুরানো মাঠেই খেলা করি— ক্ষতি কী?
সুখ্যাতি আমরা এমনিতেও পাব না,
শেকল হওয়ার বিবস্ত্র অজুহাতে—

একলা চলার মন্ত্র

৫ ডিসেম্বর

একটা দমকা হাওয়া বেশ চমকাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। ধরো, সে তোমার হাত ধরবে। কাঁধে হাত রেখে বলবে মদ খাওয়া যাক? তারপর রাতে সারা বিছানাময় উত্তাপ দেবে। আর এই শীতের হাওয়া জানান দেবে ক্যাম্প ফায়ারের আরেক অর্থ ডিটেনশন ক্যাম্প। আমাদের আদর জল-বাতাসা পাবে?

আমাদের ভালোবাসা

১
তুমি চাও
যথেচ্ছ হওয়ায় উড়ে যাক চোখ

অথচ এখানে আয়না ও দেওয়াল ততটা পৃথক নয়

দুপুরের বন্ধন

কখনো এমন হয়, পাতাঝরা আইলের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের মনে পড়ে—দক্ষিণের বাতাস চলে গেছে কতদিন আগে, কতদিন আগে পৃথিবীর বেহুলা নারী নিয়ে গেছে দূর রূপকথা, ভাসানের অবছিন্ন আলোয় থেমে গেছে রজনীল হাওয়া—

কুহকের লেখা ও অন্যান্য গদ্য

কুহকের লেখা

একটা কুহক নিয়ে জন্মেছি যেন। যত এগোচ্ছি কেমন অদ্ভুত দৃশ্য খুঁজে পাচ্ছি। পর্দা সরালেই জগতের বাহার। মাংস অদলবদল হওয়ার কারিগর হয়ে উঠছি ক্রমে। কেন কী কারণ— এ-সব নয় মানুষের শরীরে এইসব বার্তা মানায় না। সংশয় যখন তৈরি হতে থাকে একটা তীর্যক জীবনের রহস্য খুলে আসে। কেউ কাউকে ক্ষতি করছে না।

কাম

১
আগামী হপ্তায় মারা যাব, তবু তোমার ঐ কাম
সার্কাসে বাঘের মতো লাফ দেওয়ায় আমাকে আগুনগোলক
ভেদ করে। কেন এত শয্যাপরায়ণ বলো মৃত্যু আমাদের?

সঙ্গরোধের মেলানকলি

১
একটানা দীর্ঘদিন দরজা বন্ধ

একটানা দীর্ঘদিন কাঠি আর তালা
অনঘ দূরত্বে ঝুলে আছে