আমরা যারা XYZ: ১
কোথাও কিচ্ছু নেই, সম্পর্করা ভেঙে যাচ্ছে একে একে—
তুমি রংবেরঙের উলের বল নিয়ে বসে আছ, অথচ শীতকাল
ফুরিয়ে গেছে কবেই…
রোগনাশা শহরের দিনলিপি
(ক)
এই যে আমার উত্তুরে জিহ্বাগ্রে লেগে থাকছে দক্ষিণী ব্যঞ্জন, এই অম্লস্বাদ তাড়ানোর উপায় কী প্রভু? এক দু-দিন করে সহস্র রাত চলে গেল এরূপ সাধনে। নম্র ত্বক ঘিরে কি কঠিন বল্মীক আবরণ আমার! খোলস ছাড়তেই দেখতে পাই সমগ্র শরীরে নোনাজলের দাগ— হলদেটে কালচে। চিকিৎসা বিজ্ঞান ঘেঁটেও এর কোনো উপশম নেই।
[সাইমন জে ওর্টিজ আমেরিকান আকোমা পুয়েবলো জনজাতির কবি। জন্ম ২৭ মে ১৯৪১ । কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, গদ্য লেখক। নেটিভ আমেরিকান লেখকদের দ্বিতীয় ঢেউ যে রেনেশাঁ আনে তিনি তার অন্যতম প্রধান কবি। তাঁর কবিতা গল্প গদ্যের ছত্রে ছত্রে আকোমা পুয়েবলো জনজাতির মুখ ফেরতা সাহিত্য, লোককথা, উপকথা। নতুন আঙ্গিক ও টেকনিকে তিনি বিষয়গুলি নিয়ে আসেন।
দক্ষিণের জানলার দুটো পাল্লা হাট করে খোলা। ঘটনাটা তেমন কিছু না— তবে কি, আবহাওয়ার মন বুঝে জানলাটার বন্ধ থাকারই কথা। হয়তো ঘরে কেউ ঢুকেছিল। স্যাঁতস্যাঁতে গুমোট কাটাতেই ওই মেলে দেয়া। কী একটা ঝুমুর ঝুমুর শব্দ সেখানে খেলে যায়। অস্পষ্ট। কয়েকটা দ্রুত আর ছোটো নিঃশ্বাসই যেন পড়ল কারো। তৃপ্তির না অতৃপ্তির বোঝা যায় না।