আরশিজগৎ থেকে হেঁটে আসা আমি, আমারও নির্মাণ আছে— দুই পায়ে তাণ্ডব প্রণালী। দূরে যাব,
তবু অশোকস্তম্ভের তলে রেখে যাব দীর্ঘ-নিঃশ্বাস।
আমাকে রাত্রি দাও…
হারিয়ে যাওয়ার মতো অস্মিতি দাও।
১
ব্যথার মতো করে যে-ছবি দেখি তা মানুষের স্বভাব। ফলের টক নিয়ে অর্ধেক রেখে যায় বাদুড় সংসারের মাথায়। আহারের অনার্য; শরীর দিয়ে প্রবেশ করতে চায়; ঘাসের জন্মের মতো চাতুরি পায়ের শীতল দুঃখ ছুঁয়ে প্রতিবাদে ন্যুব্জ হয়ে এলে তুমিই আসো আবার উপঢৌকন নিয়ে।
১
এই দশ কিলো চালের ব্যাগ হচ্ছে কবিতা
মেসবাড়ির এই সরুগলি দিয়ে পাঁচমিনিট হাঁটলে মেন রোড
মেন রোডের ওপারে বাঁ দিকে দ্বিতীয় দোকানে আলাদা আলাদা দামের কবিতা বিক্রি হয়।
বরফের দেশে আমার কেউ নেই তবু মনে হয়
কেউ আসবে বরফের দেশ থেকে আমরা জানি,
বরফ মানুষকে খুব বিচ্ছিন্ন করে দেয়, নিঃসঙ্গ… আর
নভেম্বরে রাস্তাঘাট ভরে যায় পুরু বরফে।
তাঁত থেকে মাকু উপড়ে ফেলেছি। রক্তপাতহীন হত্যাপ্রণালী ও রাত্রি ঘাতক
: ঘনঘোর আবরণ আজ ভূমিকাবিহীন। তবে আমি ফিরে যাই
: এই ঘরে পশুছাল। আমি যাকে প্রতিদিন মারি সে আমার অন্তিম হনন
১
বৃষ্টি ভেজা বালিহাঁস কিচ্ছুক্ষণ আগেই আমি উড়িয়ে দিয়েছি। যত দিন যায় মৃত কুকুরের কাঁধে একটু একটু হাত রাখতে শুরু করছে অন্ধ দেওয়ালঘড়ি। কয়েকদিন আগে নদীর কাছাকাছি কোনো ভাঙা শববাহী গাড়ি ডুবে গিয়েছে। বন্ধ্যা কলকাতা এ’সব কিছুই দেখতে পায় না।