Category: কবিতা

আসক্তি

নিজস্ব প্রলাপ লিখি, ঘর ভাঙে, কৃত্রিম খেলার ফাঁকে কেউ
কানে কানে বলে যায়, এবার চমকপ্রদ কিছু লেখো
শ্রাবণ তো খালি গায়ে বৃষ্টির ভিতর ছুটে যাওয়া
ভিজে যাওয়া মাটি পায়ে পিছলে যাওয়া মুঠো করে ঘাস

আহিরীপুকুর লেন

শহরের ভেতর শহর, তারও ভেতর আরেক শহর, আর তারও ভেতর
কোথাও একটা পাহাড়, ধাপে ধাপে উঠে গেছে অন্ধকার আরেক পাহাড়ের মুখোমুখি
খাঁজে খাঁজে উপত্যকা, প্রত্যেক বৃষ্টিতে ভাসে

হারানো কৃষিকাজ

তোমাদের যেসব এপ্রিল, বসে আছে আমার ক্ষোভের আড়ালে। ওত পেতে থাকি। হলুদের পাশে, রক্তের গভীরে। বিচ্ছিন্ন পাতাদের উড়াউড়ি। ধরতে চেয়েও, ক্রমশ ছুটতে থাকি।

বহুগামী

অভ্র পাহাড়ে বেড়াতে বেড়াতে পায়ে করে নিয়ে এলাম ফুলের বিশুদ্ধ পরাগ।

শুনতে পাচ্ছি দূরের গুনগুন গান…
আকাশে জ্বলজ্বল করছিল কাচের বাক্সে সাজানো দ্বিতীয়, তৃতীয় অধ্যায়।

ঠাপ দিয়ে যাচ্ছি
যাচ্ছি
খুব দ্রুত
জোরসে
দিতে দিতে বুকে হাত দিতে যাব

একটি সহজ মানুষের জন্য

চার ফর্মার সত্যকে ব্যাক কভারে রেখে
উঠে আসছে আমার মাতামহ
হাতে পায়ে পৃথিবীর শিশুমুখ

সন্ধ্যাভাষা

শীতকালের কাছাকাছি এ সময়—
পৃথিবীর দিকে ঝুলে আছে অপার্থিব সন্ধ্যার ছায়া,
তোমার স্মৃতির বাইরে দেখো যেতেই পারছি না

সংক্রামক ব্যাধির জন্য নহে

এই যে চোখে হিরোসিমা
কানের ভেতরে রক্তমাখা সমুদ্র আর
পদ্মচক্রে বসে আছ, তুমি, ধানসম্ভাবনা
কী হবে তাহলে আমার

একটি সমাপ্তিসংগীত

‘আপনাকে গুরুত্ব দেবার আর কোনো প্রয়োজন
নেই আমার’
বাতাসহীন বাড়িতে বসে এখন
নুতন এক প্রস্তুতিপর্ব চলছে আমার

মুখোমুখি

ক্ষমা কোরো না আমায়
এই যে নতমুখে তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াই

এটাই কম কি পাওয়া বলো!

এই সুযোগ, এই দৃশ্য
অনেক দূর থেকে বিগ্রহের মতো দেখায়

জীবন, কতকিছুর নিবেদন
আমাদের অতৃপ্ত বোঝাবুঝি, অলক্ষ্যে ধর্ম হয়ে যায়