Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: মনোরঞ্জন ব্যাপারী

সামনে সময় ভয়ংকর

আমি ভালো নেই। মাথার মধ্যে সব-সময় দুশ্চিন্তা, রাতে ভালো ঘুম হয় না। চোখ বুজলেই ধেয়ে আসে নানান দুঃস্বপ্ন। প্রেশার সুগার খুব বেড়ে গেছে। আমি জানি কোভিদ-১৯-এর আক্রমনে কেউ আর ভালো থাকার কথা নয়।

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: সুস্নাত চৌধুরী

গ্রহে ও গৃহে ইতস্তত ঘুরে

অভিজ্ঞতা হল সেই জিনিস, যা আমাকে শেখায় আত্মোপলব্ধির পাঠ। ভুল ভেঙে মনে করিয়ে দেয় আমার অদক্ষতার কথা, অপারগতার কথা, অজ্ঞানতার কথা। মানুষের জীবন কোনোদিনই বেঁচে থাকার অনুকূল কিছু ছিল না। বলা ভালো, তার বেঁচে থাকাটাই এই মহাজগতের এক ব্যতিক্রম, ম্যাজিক। হয়তো অতিরিক্তও। তবু অতিমারির প্রকোপ যখন তার উপরে প্রত্যক্ষ প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল,

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: অমিতাভ মৈত্র

সিংহ, উট, মরুভূমি

ইচ্ছে ছিল না আক্রমণ করার, কেন-না ক্ষুধার্ত ছিলাম না আমি। বিকেলে মরুঝড়ের ভেতর দিয়ে দুলতে দুলতে, ঝড়ে প্রায় অদৃশ্য। আকার হারালে কোনো বস্তুর মতো, কোনো ওভারকোট বা ভ্রমণ পত্রিকা বিক্রেতার মতো দ্বিধাগ্রস্ত এগিয়ে আসছিল আর প্রথমে আমার মনে হয়েছিল বিরাট এক হাওয়া-ঠাসা বেলুনের পুঞ্জ সে।

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: প্রকল্প ভট্টাচার্য

কিসসা কোরেন্টাইন কা

আমি একজন শান্তশিষ্ট নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ। আইন-কানুন মেনে চলি, বিশেষ করে, তাতে যদি পুলিশের বা প্রাণের ভয় থাকে। তাই লকডাউনের সময় নিজে নিজেই কোয়ারেন্টাইনের আইন মেনে ঘরবন্দী হয়ে আছি। মোটের ওপর, ভালোই আছি। বার-তারিখ গুলিয়ে যায়, তাই একটা হিসেব রেখেছি। সোমবার নিম-বেগুন খাওয়া হয়, তাই সকালে নিমপাতা আনতে নীচের বাগানে যাই। বুধবার কারিপাতা আনা হয়, আর যদি কুমড়োফুল জোটে।

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: পাপড়ি রহমান

লকডাউন দিনরাত্রির মর্সিয়া

অতিমারির এই দিনগুলোতে সবকিছুই কেমন ধীরে অথচ নিঃশব্দে বদলে যেতে শুরু করল। ধুপছায়া মেঘের একটা বিশাল চাঙারি উড়ে এসে যেন আচানক আড়াল করে দিল প্রত্যহের দেখা নীল আসমান। এখন ব্যালকনিতে দাঁড়ালে নীলের সামান্য চূর্ণও আর নজরে পড়ে না, আসমান দূরে থাকুক। দৃষ্টির সীমানায় শুধু সারি সারি দালানের ম্লান-মূক দাঁড়িয়ে থাকা। সম্প্রতি অঢেল ক্লান্তি এসে তাদেরও যেন একেবারে গ্রাস করে ফেলেছে!

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: হাসনাত শোয়েব

বায়োস্কোপে বন্দি জীবন

একটি মুহূর্তের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে অনেকগুলো মুহূর্ত, তার ভেতর ঢুকে যাচ্ছে আরও অনেকগুলো মুহূর্ত। প্রতিটি মুহূর্ত আসে দৃশ্যের ওপর ভর দিয়ে। একটানা সিনেমা দেখার ব্যাপারগুলো অনেকটা এরকমই। অসংখ্য মুহূর্ত একের পর এক জমা হতে থাকে স্মৃতির করিডোরে। যা ক্রমশ অনুভূতির দেয়ালে আঘাত করতে থাকে। হঠাৎ কোনো একদিন অস্তিত্বহীনতার অনুভব যখন প্রকট হয়ে উঠে,

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: সেলিম মল্লিক

লকডাউন ডায়ারির এক পাতা

রাস্তার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, একমাত্র রাস্তাই বিকল্প। অতএব এই পথ ধরতেই হল। বিচ্ছিন্ন হতেই হল। সবার হাত ছেড়ে দিয়ে এমন একটা আকাশের তলা দিয়ে হেঁটে চলার সংকল্প করতে হল, যেখানে চন্দ্র সূর্য নেই তারাদের নিশ্চিত ইশারা নেই। মানুষের কোলাহল ছাড়া মানুষের পায়ের শব্দ ছাড়া পেরোতে হচ্ছে মাইলের পর মাইল। বাঁচার জন্য তবে একলা হতে হচ্ছে। একলা গান গাইতে হচ্ছে।

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: পাপিয়া দাস বাউল

লক-ডাউন লোক-ডাউন

সাল ২০২০। মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন এবং, আগামীতে আরও কতদিন আমরা গৃহবন্দি থাকব?
আমাদের অজানা।

ভারতের বাইরের বেশিরভাগ দেশই খুলে গেছে। অর্থনীতি শুরু হয়ে গেছে বেশ আগেই! লন্ডন জার্মানি-সহ বহু দেশে মেট্রো, বাস সবই চলছিল, এবং চলছে!

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: হিরণ মিত্র

ছোপ ছোপ দিনগুলি

আপাতভাবে মনে হতে পারে, মানুষ গৃহবন্দি। সে একটা জেলখানায় ছোট্ট খুপরিতে আটকে আছে। কিছু মানুষের জন্য তা তো বটেই। যারা ছোট্ট একটা ঘরে নিজের বিছানা আর সামান্য কিছু আসবাবে নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করেছে। সামান্য আকাশও দেখা যায় না, সেই ঘর থেকে। একতলার ঘর, তাই জানালা খোলাও সমীচীন নয়। বে-আব্রু হয়ে পড়ার আশঙ্কা, একটা মানসিক ব্যাধি জন্মানোর আদর্শ চৌখুপি।

Categories
অন্যান্য

করোনার দিনগুলিতে: অমর মিত্র

মহামারির আরও বিবরণ

মার্কো পোলোর ঘুমের ভিতরে স্বপ্নটি হানা দিয়েই যায়। হয়তো প্রত্যেক রাতে নয়, কোনো কোনো রাতে। তখন তাঁকে অন্ধকারে চুপ করে শুয়ে থাকতে হয়। মনে পড়ে কলিকাতা নগরের রাস্তা আর রাস্তা, মানুষ আর মানুষ। ট্রেনভরতি মানুষ এসে নামছে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে।