লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

দেবজ্যোতি দাশগুপ্ত

গুসবাম্পস

বাইরের আঘাত চিনিয়েছে ব্যথা কাকে বলে।

ছাপ রেখে গ্যাছে আদর।

বার বার ওদের কাছে ফুরিয়ে দিয়েছ নিজেকে।

অথচ কেউ ভিতর থেকে বুঝিয়েছে—
তোমার অস্তিত্ব শরীরের থেকে একচুল বেশি,
যাকে তুমিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারো না।

বারান্দা

প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে গড়া শরীরগৃহ।

হাত থেকে চোখ, চোখ থেকে ঠোঁটে অবাধ বিচরণ।

মনোরঞ্জন!

অবহেলিত উত্তরের বারান্দায় উদাসীন টান।

অতিথি আপ্যায়নে জ্বলে ওঠে আলো।
আর প্রত্যাবর্তনে,
মাংসল মেঝেতে এসে পড়ে হাড়ের নকশাখচিত জ্যোৎস্না-রোদ।

বোধ

সমস্ত ছেড়ে আসার থেকে চালাক হয়েছি।
যেখানে রয়েছি, তার থেকে বোকা।
দুয়ের মাঝখানে যা যা ঘটছে, সব বুঝতে পারছি।
স্রেফ এক কথায় প্রকাশ করার শব্দ পাচ্ছি না বলে,
কিছু সমাধান করা যাচ্ছে না।
প্রগাঢ় সমস্যা ফ্রেমে ধরে রেখেছে সময়।
আর তীক্ষ্ণ পেরেকের মতো খুচরো বিপত্তি,
রক্ত ঝরিয়ে গড়ে তুলছে তাকে।

ওষুধ

স্ট্র্যাপ খোলা জন্ম আমাদের।
বিস্বাদ মেখে দিনের পর দিন বসে থাকি একটা রোগের অপেক্ষায়।

পৃথিবীর ঠোঁট অবধি পৌঁছোতে পৌঁছোতে বেড়ে গ্যাছে বয়স।

মৃত্যুর মুখে পিছনে ধেয়ে আসা অশ্রুস্রোত,
আমাদের নিয়ে যায় লক্ষ্যের কাছাকাছি।

অথচ সব ঠিক হয়ে গেলে অবাক চোখে দেখি—
স্বাদে, গন্ধে, রঙে না জড়িয়েও
সবসময় পাশে থেকে জল কীভাবে জীবন হয়ে ওঠে!

আরশিবয়স

কনফিউসড্ কৈশোর ও ফ্রাসট্রেটেড যৌবন,
দুটো ভোলাপচুয়াস কুকুরের মতো শৈশব নিয়ে টানাটানি করে।

সংখ্যার দিকবদল ব্যস্তানুপাত।

কাচের গুঁড়ো, সময়ের বালি
ঘড়ির কাঁটা, কাঁটার তার।
তারে মেলা কাপড় কাপড় সাল।

ভাঁজে ভাঁজে নতুন বালক বইয়ে মলাট দ্যায় মা।

 

Facebook Comments

পছন্দের বই