লেখক নয় , লেখাই মূলধন

অত্রি ভট্টাচার্য্যের কবিতা

ধর্ষণত্রস্ত

বিকেলটুকু এখনও ততখানিই তার যতটুকু পরিষ্কার হয়,
কাচের রাস্তার মতো চকচক করছে আধাশিশুদের গাল,
গাল বেয়ে ঝরছে মরিচ। এক মৃত কবির
পাখনা পড়ে রয়েছে পাখিরা তাই ঠুকরে খাচ্ছে।
যাদের প্রেম স্যাঁকরায় নিয়েছে, তারাই এখানে সোজা হয়ে
বেঁচে থাকতে পারে। বিড়ি বাঁধতে বাঁধতে
ছাদ মাথায় ঠ্যাকে না ! মাথাদের বলে না ছাত—
টোকা পড়ো, যুদ্ধ ক’রে আসি।
আয়নারা আজ বড়ো অহেতুক বণিতা হয়েছে।


এক বিরাট সাইকেল কাঁপছে কারখানায়। রেফ্রিজারেটর।
ওইখানে বসে কেউ স্যান্ডুইচ বানায়, অর্ধেক কুলুঙ্গি গড়ে
ব্যবসা ক’রে। অনেকের চাহিদার কানায় কানায় এক ব্যাগমাত্র
খোলা। সমস্ত ভার্সিটিস্মৃতি ব্যাগকে মহান করেছে। কিছু
হিন্দি কিছু কাদা বাকি পাপ অদ্বৈত রকমের পাপ।
আমি হাঁটছি জুতোরা ফেয়ারওয়েল গাইছে সহাস্যে।


দারুণ চাহিদা উড়ছে গাছপালায়, সান্ত্বনায় নুয়ে
পড়েছে গাছ। এ ওকে দ্যাখায়, ভ্রূকুটি উপেক্ষা ক’রে, দ্যাখে
সবার মধ্যে সবার সর্বনাশ ঘাপটি মেরে আছে।
এই ভয় আজকের নয়। গাছের ও মেঘেদের-ও কি?
পুরো দারিদ্র্য টলোমলো, মুখের প্রমাণ দিতে
মুখোশটি বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে মহাসাগর পর্যন্ত।
প্রচুর লিখতে হচ্ছে যতক্ষণ
তাগিদের অর্থ হয়ে না ওঠে তদ্ভবকবিতা!


একটু তীর্থে বোসো, গাড়িটি লাগাও,
তোমাকে ছন্দ করি প্রত্নস্পর্শ, মাঘমাস করি।
চিহ্ন করি ময়দানবের। একার আগুন আর তার মতো
কে খেতে পেরেছে! পরবর্তী লাইন ছিল— ময়দানব
নাকি অবিবাহিত— কোন মহাভারতে যে এ’সব লিখেছে?
এক স্বল্পালোকিত শ্রমিকের ঘর সবসময় থাকবে উজ্জ্বল! আমার
দানবিক কানে ওই বাতাস কত দীর্ঘদিন তুলোবীজ পোঁতে না।
চরিত্রের চিত্র মেটে রং মিশিয়ে আঁকে না!
শেষ চায় শেষ-ও লিখে দেয় না শরীরে
বিনা আপত্তিতে লোডশেডিং জড়িয়ে ধরে ধর্ষণত্রস্ত শহর

Facebook Comments

পছন্দের বই