লেখক নয় , লেখাই মূলধন

সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

শাপগ্রস্ত


কিছুতে ছোঁব না বলে আঙুল ভিজিয়ে রাখি
ওদিকে ছায়ার মাপে ছোটো ছোটো রোদ কেটে
কেউ বুঝি হাত ধুতে গেছে
কিছুতে ছোঁব না তাকে— এমনই দূরবিন এমনই পাহাড় আমি প্রতিদিন অভ্যেস করি

এসেছি শ্মশানঘাটে। প্রথাহীন, ডোমহীন
কীভাবে শোকের কাছে যাই
যখনই এসেছি ফিরে; বলেছ, ভ্রমণ শেষ হলে
খামোখা শরীরে আগুন নিয়ে এভাবে কেউ বয়স বাড়ায়!


দেখার নিয়তি ছিল, সেই বুঝে অন্ধ হয়েছি
এখন ভাষার কাছে এলে ভুল হয় রঙে
দূরতর, দূরতম—  এইসব রোমাঞ্চ গল্পে এসেছে
তবুও তো শীতকাল, নিরীহ খোলসটুকু দেখে
আমাদের ঘুম এল, শিথিলতা এল

সেটুকু সুযোগ নিয়ে কলহ এসেছে
মাটিতে পুঁতেছি তাকে, জল রোদ নিয়ে
সঠিক সময়ে দেখি ফলেছে বিবাদ
শুভ্র ভাতের পাশে এটুকুই ব্যঞ্জন—
দুজনেই মুখে তুলে তৃপ্ত হয়েছি


চারিদিকে পাখি ওড়ে। চারিদিকে তুমুল ছড়ানো থাকে দেহের বয়স। স্মৃতি থেকে হাত এসে যেটুকু আঁকড়ে ধরে— চারপাশে কেবলই তুষারপাত— কেবলই ঘণ্টা বাজে প্রাথমিক স্কুলে

আলোর অনেক নাম, এই বলে নিভে গেল ব্ল্যাকবোর্ড, কাঠের টেবিল থেকে উড়ে যায় গ্লোব। এভাবে বয়স ফোটে সারি সারি— চারিদিকে বর্ণপ্রভাত

মাটির গর্তে ঠিক জেগে ওঠে ভেঙে-পড়া-দাঁত


না-মেঘ এসেছে জল। আমিও কি উঁহু-ভেজা হব! এমন জটিল ডাকে ঠোঁট হয়
তথাপি হয় না কোনো কেকা

তোমাকে বসিয়ে রেখে পলক হয়েছি, কখনো পড়িনি তবু, অনিমেষ, যেই ডেকে ওঠো
না-মেঘ বাদল এসে চোখ রেখে যায়—
উঁহু-ভেজা-ভেজা


গানের সংগীতে যাই, দেখি পথ পারাবত হল
আলোর ধূসর শুষে ওই মেঘ মল্লার জানে

কাচে কাচে জন্ম হল অজস্র চোখ, চোখে চোখে আলোর ধূসর, এত দেখা কোনখানে রাখি

গানের সংগীতে হাঁটি, পা কেটে গড়ায় তাই পথে পথে ফেলে-আসা-মুখ, মেঘে মেঘে পারাবত পাখি

Facebook Comments

পছন্দের বই