লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

নম্রতা সাঁতরা

বালি

অবাক; স্তম্ভিত আমি!
তোমাকে আদরে তপ্ত করি গোটা দিন,
আলো নিভলে হঠাৎ ঠান্ডা একেবারে।
হাতে নিলে পিছলে যেতে চাও
অথচ, পালাতে চাইলে বুঝতে পারি,
কতটা বিপরীতমুখী বল দিতে হয়।

তাঁবু

জানি, তোমার ভেতর অনেক অনিশ্চয়তা।
অনেকটা সিনথেটিক কাপড় পরে আগুন পোয়ানো।
হিমেল রাতে মাঝে মাঝে ওই কাপড়ই তাঁবু হয়,
নিশ্চিন্ত নিদ্রাযাপন।

বনফায়ার

আগুন জ্বালাতে পারবে যতক্ষণ, সেঁকে নিয়ো যে-কারো মাংসল উপস্থিতি।
তবু সুন্দরী বাঘিনীরা ভয় পাবে সেই আগুন
সব নিভিয়ে ফেলে কাছে টানতে হবে সারমেয়দের।
আগুন না পেলেও পাঁশ মাখতে কাছে আসবে।

জেলেনৌকা

আমাদের কৈশোরপ্রেম মনে আছে তোমার, একটু গুপ্ত—
বালির চরে রাখা নৌকোর মতো তাতে লেখা থাকে—
“বিনা অনুমতিতে নৌকায় ওঠা বারণ”
তবু লুকিয়ে উঠে পড়ি, ক্যামেরার ঝলকানি অনস্বীকার্য।

আঁশটে গন্ধ

অনাদিকালের তুমি আর আমি, আর আমাদের পুরোনো প্রেমটা শুকিয়ে শুঁটকির মতো।
উগ্র আঁশটে গন্ধ ছাড়ে—
তবু বিশ্বাস করি রান্না করলে সুস্বাদু হবে।

সঙ্গম

ডাঙার যত পাখি আছে তাদের নাম অনেক, রং অনেক।
সঙ্গমের অতল জলের তীরে, সকল যাত্রীর অভিন্ন নাম— ‘তীর্থের কাক’।।

Facebook Comments

পছন্দের বই