লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

কৌশিক দাস

দেশ-সংকলন

বিকল্প

ভিড় করবেন না

আপনারা সবাই সরে দাঁড়ান
বড়োবাবু আসছেন

বড়োবাবু আসছেন
চেয়ারটা পরিষ্কার রাখুন

কী কাণ্ড হাতল কই!
এক কাজ করুন, আপনাদের হাতগুলোই দিন

নিউটন

গুলির কোনো ধর্ম নেই,
সে চোখ বুজে মালিকের ট্রিগার শোনে

মালিকের কোনো ধর্ম নেই,
সে শোনে উপরওয়ালার কথা

উপরওয়ালারও কোনো ধর্ম নেই
সে শুধু বোঝে চারপায়ার সিংহাসন

সিংহাসনের অবশ্য একটি ধর্ম আছে,
সে কেবল প্রতিটি বস্তুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে।

নল

কেমন গোলমেলে যাচ্ছে
দিনগুলো

বন্দুকের নলটা ভেঙে এনে সেখানে
চোখ রেখেছে ছেলেটা

আর তাকে খেলার ছলে ট্রিগার শেখাচ্ছে
পলিটিক্যাল বস্ত্র বিতরণ।

দেশ

হাসপাতালে শুয়ে আছ

অনেকেই শুয়ে থাকে যেভাবে

একটা রাগ চটা বেড— আড়াইজন মানুষ

কষ্ট কিছুটা ঝুঁকে আছে নীচে

নার্স আসবে— নিজেকে শক্ত করো

সামান্যই তো ইনজেকশন— এত ভয়!

কিছুক্ষণ আগেই যে গুলি খেলে!

আমি আর কুকুর

আমি একটা কুকুরকে নিয়ে কবিতা
লিখতেই পারি যেমনটা লেখে এখনকার
কবিরা কুকুরের একটা লেজ নিয়ে

কিন্তু আমি লিখছি না তার কারণ ওই
কুকুরটাই

চার রাস্তার মোড়ে রোদের মধ্যে শুয়ে
আছে। গায়ের অনেকটা জুড়ে পচন ছড়িয়েছে
— এই কথাগুলো নিয়েই কবিতা লেখা যায়

কিন্তু আমি লিখছি না কারণ আমার যেন
মনে হচ্ছে জলীয় আর করুণ চোখ নিয়ে
আমিই চার রাস্তার মোড়ে পচতে থাকা শরীরটা
নিয়ে কুকুরের দিকে তাকিয়ে আছি।

দেশ ২

কবরের সামনে কিছুক্ষণ বসে থাকবার পর
যেটা সবার আগে চলে আসে সেটা হল উঠে পড়া

সামনের রাস্তাটা ঠিকানার দিকে গেছে;
তুমি তো রাস্তা ছুঁয়ে বাড়ি ফিরে যাবে

ফিরে গিয়ে বেলচাটুকু জেনো: তার গায়ে
নিরহং মাটি লেগে আছে!

 

Facebook Comments

পছন্দের বই