লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কুণাল বিশ্বাস

ঘুম

জলাশয় খুব ভালো, সকলের যোগাযোগ আছে
সহজে নিজের মুখ দেখে ফেলা যায়
মাছেদের খেলা ছাড়া পাতায় হলুদ এই ঘাট
গভীর গোপন হাওয়া ফাঁকতালে আসে
সমস্ত কেবলই ছবি— জল কমবেশি

শীতের সকালে চেনা দায়
মনে হয় শাদা ভূত শুয়েছিল সারারাত একা
এখনও কাটেনি তার ঘোর

আমিন

নীলগাই ছুটে আসে ঘরে
পিছু পিছু সব পোকা, জরিপের বন
আকাশের ভুল ধরে পাখিরা বিমুখ

মেঘ বিচারক…

ঢালো মদ… লেখো আমবাড়ি ফালাকাটা
টীকা লিখে যাও

খারিফ শস্য

আকাশের নীচে শুধু হাহুতাশ জারি
দুপুর অচল মনে হয়
কলতলা মেঝে
বাসনগুলি ধ্বনিপ্রবণ
গাছেরা গুটিয়ে আছে ভয়ে

বিবাদ এখন ভালো নয়
এই কথা বলে গেল পাখি

শিয়রে শ্রাবণ…

মাটি ও মেঘের কত যোগাযোগ রেখা
ভেঙে পড়ে বোরো ধান চাষের উপর

স্বপ্ন

সেই যে সেবার ঘন পুকুরের মেঘ
মহিষেরা ঘাড় গুঁজে জলে
মাঠের ছাউনি আর ঘাস কিছু দূর
বনপাউরুটি খেয়ে তোমাদের ঘুম ভেঙে গেল

অন্তিম

চোরাশিকারির বেশে রাত ঢুকে পড়ে
ভয়ে থম গাছের শাবক
ঘুরপথে বহুদূর হয়ে এখন পড়েছে মনে
তারাদের কথা

দেশের খবর শুনি ঠায়— দেশ মানে মহাকাল
সুদূর ফরিদকাঠি, পরগনা জেলা
দেওয়ালে গণেশ ঝোলা অনিতার রুটির দোকান
মাঝখানে পঞ্চায়েত বসে
ফেরে শীতকাল, রাঙা ডালিয়ার বন
পাখির ওড়ার পথ নীল

দেখি চাঁদ খুন করে ভোর
বড়ো হয় মেদিয়ায় আনাজের খেতে

Facebook Comments

পছন্দের বই