লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

নীলম সামন্ত

বারান্দা


যৌথের বারান্দায় বিচ্ছিন্ন শব্দবোধ—
পুরোনো মাটি।
দু-হাতে ভিক্ষাপাত্র;
ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে স্বস্তিক৷
কেউ কি দেখেছে?
দেওয়ালে লেগে নেই শাবকের তিল।
পুজোহীন ষষ্ঠী—
অথচ বার বার বলেছি বারান্দাই উৎসব।


বেনামি পাখি, ছড়ানো ভাত—
বারান্দা ঢুকে পড়ে বুকের ডান দিকে।
দু-একটা ব্লকেজ।
যতদূর চোখ যায় ধু-ধু মাঠ,
ভাঙা ইলেক্ট্রিক পোস্ট।
ডান দিকে আর একটু সরে গেলে স্পষ্ট হয়—
আধপাকা খেজুর আর গম রঙের তফাত
ঠিক ততটা যতটা
জানালা আর বারান্দার৷


রাস্তার ওপর মুখ বার করে ঝুলে থাকা বারান্দা
ঘন সবুজ
বড়ো বড়ো থাম
কাচের বাটিতে শুকনো চন্দন—
চোখ বন্ধ করলেই
অবুঝ সুবর্ণলতা।
যার দুপুর-বিকেল—
একফালি রবীন্দ্রনাথ
হিসেবের ভগ্নাংশে কোকিলের সুর
বাঁশিওয়ালার চোখ
সারারাত অন্ধকারে আঙুলে ফুল ফোটায় চৌরাশিয়া।


জীবনে সে আসার পর প্রতিটা আঙুলে
বারান্দা এঁকে বলেছিল
“তোমার একটু দখিনা বাতাস প্রয়োজন”।
এক পেয়ালা ব্ল্যাক কফি
আর একটা কাপ সহ আংটিতে
লিখে রাখছি
একাকিত্ব—
কোটেশনে ভালবাসার রেস্তোরাঁ ও রংরুট।


আঘাত আর বারান্দা পরিপূরক ধরে নিলে
নিজেকে কবর থেকে তুলে
পুড়িয়ে ফেলি
বছরের পর বছর
যা কিছু প্রস্তর
যা কিছু ভঙ্গুর
সাকুল্যান্ট সাজানো টেরিরিয়াম
দু-একটা পাহাড় হেঁটে যাবার পর
প্রচার করি
আঘাত কিংবা বারান্দা
ওক কাঠের ফায়ারপ্লেসে নিজেদের সাজিয়ে তুলছে
পরিত্যক্ত রেড ওয়াইনে।

Facebook Comments

পছন্দের বই