গল্প
রিপন হালদার
আশ্চর্য ভ্রমণ
এই মাঠটা মনে হয় কিছু মানুষের অন্তহীন পায়াখানার স্থান। এর আগে যে-কয়বার ও এখানে এসেছিল প্রত্যেকবারই কিছু মানুষকে দেখেছে তাদের দীর্ঘ কালো প্রস্রাবদণ্ড মাটিতে ঠেকিয়ে পায়খানায় রত। প্রত্যেকের সামনে একটা করে ঘটি। আড়চোখে গুনে দেখা গেল আটজন। এবং প্রত্যেকের মাথা মাটির দিকে নোয়ানো। এই লাইনের পর কিছুটা জায়গা ফাঁকা। তারপর আবার একটা লাইন। এখানে যারা বসে আছে তারা আবার পরনের লুঙ্গি বা ধুতির মতো পোশাকটা উলটিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। যেন এর ফলে পৃথিবীর আর কেউ তাদের গোপন অঙ্গ দেখতে পারবে না! অন্য দিকে তাকানোর ভান করে গুনে দেখা গেল ছয়জন। আগে যতবার এখানে এসেছিল এদের এভাবেই দেখা গিয়েছিল। আজও অমল দেখতে পেল মানুষগুলোকে একই কাজে ব্যস্ত। প্রত্যেকের বসার ধরন একরকম। মাথার আকৃতি দেহের বিশেষ করে হাত পায়ের গঠন একইরকম দেখতে। সামান্য দূরত্ব রেখে লাইন দিয়ে কী অদ্ভুতভাবে মানুষগুলো উবু হয়ে বসে আছে। এবং প্রত্যেকেরই গায়ের রং কালো। কিন্তু কোনোবারই কাউকে উঠে যেতে দেখা যায়নি। মানুষগুলোকে চিরস্থায়ী ভাস্কর্যের মতো দেখতে লাগছে। মাটির রাস্তাটা পেরোতে পেরোতে অমল মাঝে মাঝে আড়চোখে তাকাচ্ছে ওইদিকে। ব্যাপারটা এমন যে মনে হয় সেই প্রথমবার দেখা মানুষগুলোই এখনও সেখানে বসে আছে। আগেও অমল গুনে দেখেছে আট যোগ ছয়জন বসা ছিল।
বটগাছটা কাছে এসে পড়ায় এতক্ষণে মনে বেশ খুশি জেগে উঠল। ঘন ছায়ায় এবার ও যতক্ষণ ইচ্ছা বসে থাকতে পারবে। প্রতি শনিবার স্কুল চার পিরিয়ডে ছুটি হয়ে গেলে অমল এখানে এসে বসে থাকে। এই মাঠে ওই পায়খানার লোকগুলো ছাড়া অমল আর কাউকে কখনো দেখেনি। লোকালয়ের পিছন দিকে অবস্থিত বলে অথবা আশেপাশে পাকা রাস্তা না থাকার জন্য হয়তো এখানে কারো পা পড়ে না। এই কারণে ওর জন্য এখানে অপার স্বাধীনতা। যতক্ষণ ইচ্ছা থাকা যায়। কেউ বারণ করার নেই। কোনো মানুষই আসে না এখানে, কে বারণ করবে! বটগাছের কোটরের মধ্যে এভাবে বসে থেকে রোদে ছেয়ে থাকা মাঠের তিন দিকের সীমাহীন শূন্যতা দেখতে পাওয়ার মধ্যে যে-হাহাকার মেশানো আনন্দ আছে তা অমল এই বয়সে সবটা বুঝতে না পারলেও হয়তো কিছুটা বুঝতে পারে। না হলে ও এখানে আসে কেন!
আজকের আবহাওয়া অন্যান্য দিনের মতো নয়। হঠাৎ আসা মেঘলা ধূসর আবহাওয়াটা মাঠের রূপ দিয়েছে পালটিয়ে। অথচ একটু আগেই রোদ ওর চামড়া পুড়িয়ে দিচ্ছিল। ঠান্ডা এক আমেজ প্রবাহিত হাওয়াকণার মধ্যে প্রবেশ করে ওর দেহের ত্বকে এখন মুগ্ধতা জাগাচ্ছে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অমলের ইচ্ছা করল মাঠটাকে একটু ঘুরে দেখার। অন্য দিন ও শুধু এখানে এসে বসে থাকত। যেহেতু অন্যান্য দিনের মতো আজ রোদের তেজ অত জোরালো নয়, তাই ভাবল ঘোরাই যায়! সারা মাঠের উপরে ধূসর কালো মেঘের ছায়া জমছে ধীরে ধীরে। এক সপ্তাহ পর অমল আজ এতটা খোলা জায়াগা দেখতে পাচ্ছে। ওর বাবার ওখানে এতই ঘিঞ্জি বাড়িঘর যে আকাশ দেখা যায় না।
কোন দিকে আগে যাবে বুঝতে না পেরে চোখ বরাবর হাঁটতে শুরু করে দিল। এদিকটা এবড়োখেবড়ো মাটি। উঁচুনীচু ঢিলে ভরতি। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর এবার অমল দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হল। এভাবে হাঁটার কোনো মানে হয়! অসাবধানে পা পড়লে মচকে যেতে পারে। কিন্তু মেঘলা আকাশের নীচে উদার মাঠের উপর দিয়ে একা একা এভাবে হাঁটার মধ্যে আনন্দও পাচ্ছে ও। মনের একাকিত্ব বাইরের একাকিত্বের সঙ্গে মিশে গিয়ে একধরনের বেদনা-মিশ্রিত আনন্দ তৈরি করছে।
বিরতির পর আবার শুরু করল হাঁটা। এবার বাঁ-দিক ধরল। যেদিকেই হাঁটে মাঠের অবস্থা একই। দিগন্ত অনেক দূরে! আবছা একটা দাগের মতো আকাশ আর মাটিকে কেটে রেখেছে।
এবার ডান দিকে ফিরল। এখানেও একরকম প্রকৃতি। যেদিকেই যাওয়া যায় কোনো পরিবর্তন নেই। শুধু যেদিক থেকে ও এসেছিল সেই দিকটা বাদে। সেদিকে গাছপালার অস্পষ্ট কালো ছায়া প্রাচীরের মতো আকাশের দিকে কিছুটা উঁচু হয়ে আছে। অমল হাঁটতে থাকল এবার দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে। আনন্দ যেন ওর হাত-পা হয়ে ছুটছে। কোথায় যাচ্ছে তার যদি কোনো গন্তব্য না থাকে তবে যেদিক খুশি চলা যায় এবং চলাটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সেভাবে ক্লান্তিও যখন কাউকে আক্রান্ত করেনি তখন তো আর পিছু হটার কারণ নেই।
এইসময় বাঁ-হাতে ধরে থাকা বইখাতাগুলো নিয়ে অমল একটু অসুবিধায় পড়ল। তাছাড়া হাতের ঘাম লেগে লেগে ওগুলোর ধরে থাকার দিকটা নরম হয়ে যাচ্ছে। অমলের মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। জামার নীচের দিকের দুটো বোতাম খুলে কোমরের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে নিল বেল্টের মতো করে। তারপর বুকের দিক থেকে বইখাতাগুলো একটা একটা করে সেখানে দিল চালান করে। এবার পেটের সামনে ভারী কিছু থাকার থলথলে অনুভূতি নিয়ে শুরু করল হাঁটা। পদ্ধতিটা তেমন স্বস্তির না হলেও হাতে ধরে রাখার চেয়ে সুবিধাজনক মনে হল।
এই দিকে হাঁটতে গিয়ে অমল একটা বাড়তি সুবিধা পেল তা হল বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হচ্ছে মাঝারি গতির হাওয়া। ফলে দেহে আরামের সঞ্চার হচ্ছে। কতটা এসেছে কিছু বোঝা গেল না। দাঁড়িয়ে পড়ল। সামনে সোজাসুজি বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল। মাঠের উপর ধূসর রঙের এবড়ো-খেবড়ো মাটির চাক ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে আসে বেশিক্ষণ তাকালে। তাও এই মুহূর্তে সামনে ক্ষীণ বৈচিত্র্যের আভাস দেখা যাচ্ছে মনে হল। কেমন যেন একটা অস্পষ্ট ধারণা হল অমলের, যে-জায়গাটায় ও এখন দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে সোজাসুজি একটা উঁচু ঢিবির মতো কিছু দেখা যাচ্ছে। যদিও খুবই আবছা দৃশ্যটা। ওর দৃষ্টিভ্রম কী! এই বৈচিত্র্যটুকুতে অবশ্য ওর মন সতেজ আর কৌতূহলোদ্দীপক হয়ে উঠেছে। নতুন উদ্যমে আবার ধেয়ে চলল গন্তব্যের অভিমুখে। সমস্যা হল যতই ও এগোচ্ছে গন্তব্য আর আসে না। হতোদ্যম না হয়ে এগিয়ে যাওয়াই মনস্থির করল। অদ্ভুত তো! মনে হচ্ছে ওর এগোনোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গন্তব্যও দূরে সরে সরে যাচ্ছে। অমল এবার দাঁড়িয়ে পড়ল। ও কি ভুল পথে যাচ্ছে! কোনো ভুলভুলাইয়ায় আক্রান্ত হল! বেলা এখন কত! মনে হয় মধ্য দুপুর। স্কুলের টিফিনে খাওয়া পাউরুটির টুকরোটা হজম হয়ে গেছে আগেই। এই অবস্থায় আরও এগোনো কি ঠিক হবে! ফিরতে দেরি হলে নতুন মা নিশ্চয় রাগ করবে। সেদিন তো কড়াভাবে বারণ করে দিয়েছিল যে, স্কুলের ছুটির পর যেন অন্য কোথাও না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে যায়।
এইসব এলেবেলে ভাবনাগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে অমল এগিয়ে যাওয়াই সিদ্ধান্ত নিল। যেহেতু একটা গন্তব্যের সন্ধান পাওয়া গেছে, এতদূর এসে ফেরা যায় না। তার উপর একধরনের অ্যাডভেঞ্চারের আনন্দ ওকে দখল করে ফেলেছে। দ্রুত পা চালাল। চেষ্টা করল দ্বিগুণ বেগে হাঁটতে। অনেকক্ষণ হাঁটল গন্তব্যকে সামনে রেখে। হাঁটতে হাঁটতে এইবার ক্লান্তি যখন ওকে প্রায় পেড়ে ফেলেছে, চোখের বায়বীয় ধোঁয়াশার পর্দাটা ঘিরে ফেলেছে ওর চারদিকটা। হাঁটা তবু থামাল না।
অবশেষে ঢিবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠল ওর চোখের পর্দায়। দাঁড়িয়ে জিরিয়ে নিল কিছুক্ষণ। এবং শ্বাস-প্রশ্বাস যখন স্বাভাবিক পথে যাওয়া-আসা করছে হঠাৎ অনুভব করল পেটের ভারটা আর নেই। জামার গিঁট খোলা। এখন কী হবে! পিছনের দিকে মাথা ঘোরাল। পিছনে বিস্তৃত ধোঁয়া ধোঁয়া মাঠ। তারপর তীব্র অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফেলে আসা পথটাকে ফালা ফালা করে খুঁজতে থাকল বইগুলো। অবশেষে বুঝতে পারল একই জায়গাতেই ও ঘুরেফিরে চলে এসেছে। এবং শূন্য হাতে। ঢিবিটার দিকে আর এগোবে কিনা মনস্থির করতে পারছে না। ক্লান্তি আর হতাশায় বসে পড়ল মাঠের মধ্যে। কান্নার দমক ওঠা বুকটাকে স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছে প্রাণপণে। কিন্তু অচেনা অজানার নিমন্ত্রণ কতক্ষণ সে উপেক্ষা করতে পারে, দেখাই যাক!
ততক্ষণে ওর পায়ের চঞ্চলতা মাঠে ঢলে পড়েছে। আবার শুরু করেছে হাঁটা। অবশ্যই সামনের দিকে। কিছুটা পথ এগিয়ে বোঝা গেল ঢিবি বলে এতক্ষণ যা ওর মনে হচ্ছিল আসলে তা বিরাট একটা টেবিলের মতো কিছু। মাটি বা পাথর দিয়ে তৈরি যে নয় তা অস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। আরও এগোতে থাকল অমল আবিষ্কারের মোহে। গতি এবার আগের থেকে দ্রুত। প্রায় কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পেল পদার্থটা স্বচ্ছমতো কিছু। ভালো করে তাকালে ভিতরের কিছুদূর পর্যন্ত যেন চোখ চলে যাবে। হয়তো চেষ্টা করলে ভিতরে কোনো মানুষও ঢুকে যেতে পারে। আজই ক্লাসে স্যার মালভূমি বিষয়ে পড়াচ্ছিলেন। জায়গাটা একদম সেইরকমই দেখাচ্ছে। তবে এটা স্বচ্ছ পদার্থ দিয়ে তৈরি। বরফ, ধোঁয়া, জল বা মেঘের মতো কোনো কিছু দিয়ে তৈরি হয়ে থাকতে পারে। ঠিক কী উপাদানে এটা তৈরি অমল বুঝে উঠতে পারছে না। ভয় মেশানো মুগ্ধভাব নিয়ে ও অনেকটা সময় ধরে ঐ দিকে তাকিয়ে আছে।
আর কাছে যাওয়া ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছে না। আবার না গিয়েও পারা যাচ্ছে না। অন্য দিকে মনের মধ্যে বই হারানোর কষ্ট ওকে খুব বিব্রত করে রেখেছে। সত্যি বইগুলো কোথায় এমন উধাও হয়ে গেল! বইয়ের ভাবনা ভাবতে আর ওর ভালো লাগছে না। যা হবে দেখা যাবে। খুব ধীরে ধীরে ও এবার এগোচ্ছে এক পা দু-পা করে। ভয় ভয়ও করছে আবার বুকের মধ্যে। তবু সাহস আনার চেষ্টা করল। এভাবে খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল আর একটু। হাত বাড়ালেই দেয়াল বা পর্দাটা ছোঁয়া যাবে এমন দূরত্বে এখন ও আছে।
অমলের চোখে এবার ভেসে উঠল চমৎকার একটা দৃশ্য। সেই স্বচ্ছতা ভেদ করে ফুটে উঠেছে একটা অবয়ব। সিনেমার পর্দায় ছবি ফুটে ওঠার মতো। ঠিক তাও না। কিছুটা আয়নার মতো। আবার অতি স্বচ্ছ আয়নাও না। আয়নায় জল লেগে থাকলে বা অল্প ধোঁয়াভরতি ঘরে দেয়ালজোড়া আয়না থাকলে যেমন দেখায় অনেকটা সেইরকম। অমল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ছবিটাকে। ছবির মধ্যে আবার মৃদু মৃদু ঢেউও খেলে যাচ্ছে। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকার মতো আরাম এখানে। কেউ যেন একটা বিরাট সমুদ্রকে চারকোনা করে কেটে বসিয়ে রেখেছে মাঠের মধ্যিখানে। ঠান্ডা একটা ভাব চারপাশটায় ছেয়ে আছে। যদিও কোনো শব্দ নেই এখানে। এতক্ষণ আসার সময় মাঠে যে-হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছিল তাও এখন বন্ধ। অমল তাকিয়েই আছে মুগ্ধতা নিয়ে। ওর অঙ্গভঙ্গি চেহারা অবিকল ফুটে উঠেছে সেই পর্দায়।
এভাবে কতক্ষণ ও সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ও মনে করতে পারছে না। খুবই আরামদায়ক আবহাওয়া। অনন্তকাল এখানে থেকে যেতে ইচ্ছা করছে অমলের। এখন ক-টা বাজে কাছে ঘড়ি না থাকার জন্য তা জানতেও পারছে না। বাড়ি ফেরার বাস কখন তাও ভুলে গেছে। স্বপ্নের কোনো দেশে হয়তো অমল চলে এসেছে। যেখানে বাস্তব জগতের কোনো স্মৃতিই আসে না।
ঠিক এইসময় অমল দেখল খুব ধীরে ধীরে একটা হাত বেরিয়ে এল সেই স্বচ্ছ আয়নার দেয়াল থেকে। অবিকল ওর হাতের মতো। রোগা শ্যামলা ধরনের। অবশ্যই হাতটা অমলেরই হওয়া উচিত। অমলও তাই ভাবছে। কিন্তু এখানে কিছুটা ব্যতিক্রম আছে। সেই হাতে ধরা একগুচ্ছ বই। বইগুলোর দিকে তাকিয়ে অমল বুঝতে পারল ওগুলো ওরই। রোবটের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অমল নিয়েও নিল হাত বাড়িয়ে। ভালোভাবে সেই অস্বচ্ছ আয়নার দিকে তাকিয়ে ও নিজের মুখের ছবি ছাড়া আর কিছুই যদিও দেখতে পেল না। কিন্তু যে-হাতটা বেরিয়ে এসে বইগুলো অমলকে দিল সেটা ওর নিজেরই হাত বলে এখন ও নিশ্চিত হতে পারছে না। আবার ওর এও মনে হল বইসমেত হাতটা যেন ওর পেটের নাড়িভুঁড়ির মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে আবার ফিরে গেল সেখানেই। এমনভাবেই দৃশ্যটা সেই আয়নায় প্রতিফলিত হয়েছিল।
ফেরার পথটা আর সেরকম কষ্টদায়ক লাগল না অমলের। বাসে উঠে জায়গাও পেয়ে গেল জানলার কাছটাতে। কিন্তু বসতে ইচ্ছা করল না। শুধু মনের মধ্যে একটা জটিল ধাঁধা আরামদায়ক কষ্টের মতো বাসা করে থাকল।

রিপন হালদার
লেখালেখির সূচনা ছোটোবেলা থেকেই। দু-হাজার সালে রানাঘাট কলেজ থেকে স্নাতক। ঐ কলেজে সেই বছর কবিতা ও গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম তিনে স্থান পাওয়ায় লেখার প্রতি উৎসাহ বাড়ে। প্রথম দিকে কবিতা। তারপর গল্প-উপন্যাস। ভালো লাগে বিশ্বসাহিত্য, সিনেমা, সংগীত। অচেনা গ্রামের নির্জন মাঠ ঘাটে মেঘলা দিনে একা একা ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রকাশিত বই: ‘বৃষ্টির কথা হচ্ছে’ (কবিতা, ২০১৪), ‘অংকফুল’ (কবিতা, ২০১৭), ‘এখানে অমল নামে কেউ থাকে না’ (গল্প সংকলন, ২০১৯) ইত্যাদি।