লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

সেখ সাদ্দাম হোসেন

সদরঘাট

জল সরে গেছে। ঠাকুরের খড়ের কাঠামো
অসাড় পড়ে আছে বালির চরে

তোমাকে মনে পড়ে
বলো, এখন কি আর প্রণাম করা চলে?
পূজার সমস্ত মাটি ধুয়ে গেছে জলে

শুভ্র বসন, নাকের নোলক— দূর কোনো বন্দরে
আমাদের সমস্ত অনুরাগ ছেড়ে যাচ্ছে ভূমি
বিসর্জন সুরে

তোমাকে মনে পড়ে
এই যে অলস বিকেল, ঠাকুরের ভেসে যাওয়া চুল
এমন ফুটে আছে— যেন বিষাদও এক ফুল

নার্স

ওই দূরে

শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষের ডালে
কয়েকটা পাখি এসে বসেছে
কেউ শিস দিচ্ছে

কেউ ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে নিচ্ছে পোকা

কুকুর


ব্যস্ততা এক কুকুর
ক্ষ্যাপাটে কুকুর
এর থেকে পালিয়ে বাঁচুন


একাকিত্ব
কুকুরের থেকেও ভয়ংকর

স্যালভেশন ৩

অসময়ে, ফুলও বড়ো ভারী লাগে
তবুও সম্ভাবনাময়, ধরো,
গাছের কালো ছায়ার উপর ছড়িয়ে দাও
ফুটে থাক—

এখন এ-সময় বড়ো প্রতারক।
শান্ত হও, একবার বোঝাও তাকে

দুঃখকে যে মেরে ফেলে, আসলে সেও ঘাতক

ইউরেকা

সমস্ত

সমস্ত দুঃখ বলার পরেও
কিছু দুঃখ থেকে যায় গোপনে

বুকের
অনেক
নীচে

পচতে শুরু করে। পচতে পচতে একদিন হঠাৎ
কেউ এসে বলে: এ তো জৈব সার। খুব উর্বর

সেখ সাদ্দাম হোসেন

জন্ম ১১ই এপ্রিল ১৯৯১ পূর্ব বর্ধমান জেলার চকমোস্তাফা গ্রামে। পেশা শিক্ষকতা। কাব্যগ্রন্থ: ‘ঈশ্বর তোমার ভাষাতেই কথা বলে’, ‘আকাশের সাদা ট্রাম’, ‘শর্টফিল্ম’। পুরস্কার: পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি প্রদত্ত ‘বিনয় মজুমদার সম্মান ২০১৯’, এবং ‘একালের কবিকণ্ঠ যুব সম্মাননা ২০১৮’।

পছন্দের বই