কবিতা
সায়ক দাস
আত্মহত্যা ১
ছাদের কাছাকাছি যাও
লাল অস্তগামী সূর্যের আরও
কা
ছা
কা
ছি
শরীরকে বানিয়ে ফেলো
পাখির পেট
তোমার থেকে এক পা দূরে
যে দাঁড়িয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে
হেসে যাচ্ছে ক্রমশ,
তাকে আলিঙ্গন করো!
অক্টোবর
আলো দিয়ে কাটিয়ে ফেলো যাবতীয় ভয়
আলো দিয়ে কাটিয়ে ফেলো
যা
ব
তী
য়
না-পাওয়া,
যে-রংচটা হলদে ছোপ ছেলেটা
তোমায় দেখে যাচ্ছে অনেকক্ষণ
অক্টোবর তার বাবার মতো ক্ষয়িষ্ণু
অক্টোবর তার বাড়ির মতোই ভগ্ন
সাইকো-কিলার
বসন্ত ছড়িয়ে আছে তোমার জানলার পাশে
রং, গন্ধ তোমায় সাহায্য করছে
ভুলে যেতে যাবতীয় ক্ষোভ—
তোমার বাবার ভাতের থালা ফেলে দেওয়া,
তোমার মায়ের তোমাকে আটকে রাখা
একটা ছোট্ট ঘরে!
বসন্তকে আলিঙ্গন করো
ভুলে যাও সকল ক্ষোভ, অভিমান
ফ্রিজ খুলে বের করে আনো
এক সপ্তাহের বাসি কাঁচা মাংস!
আপনজন আদতে স্বর্গের মতোই সুস্বাদু!
একটি (অ)প্রেমের কবিতা
তুমি তো সব জানতে
বলো তুমি কি কিছুই জানতে না!
তবুও কেন এই নদীর কাছাকাছি
যা
ও
য়া
তবুও কেন আমার থেকে এই
স
রে
স
রে
থাকা
মুখপুড়ি, তোকে ভাসিয়ে দিলে
জন্নত নসিব হত আমার!
সংসারধর্ম
ঘুমের মধ্যে
আমি বাবাকে আর
বাবা আমাকে
জড়িয়ে ধরে…
ঘুমের মধ্যেই
বাবার স্বপ্নে আমি
আর আমার স্বপ্নে বাবা
ঢুকে পড়ে।
আমি দেখি, কীভাবে চুন ওঠা সংসারের
প্রতিটা হিসেব করতে করতে
কাঁধ আরও ঝুঁকে যাচ্ছে বাবার
বাবা আমার স্বপ্নে ঢুকে দেখে
আমি শুধু কবিতার খাতা নিয়ে…!
ঘুম থেকে উঠে
বাবাকে আমার বটগাছ মনে হয়
আর বাবা আমায় খিস্তি দিয়ে
ঠিক বট ফলের মতোই
ফেলে দেয়
আরেকটা শেষ না-হওয়া স্বপ্নে!

সায়ক দাস
উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এই বছর উত্তীর্ণ। নিবাস— শ্রীরামপুর, হুগলী। একাদশ শ্রেণি থেকে কবিতা লেখার সূচনা। টুকটাক লিট্ল ম্যাগাজিনে কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।