লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

বাপি গাইন

গুচ্ছকবিতা


কিছু একটা হয়েছে এই পশ্চিম আকাশের
দেখো – তোমার মাথার ছায়া ছিটকে পড়ছে বালির ভেতর
এই কাঁধ তবে বিশ্রামের উপযোগী না।
এই ভিজে ওঠা আকাশও তবে আর নক্ষত্রের না।

দূরে পাথরের শহরে জ্বলে উঠছে নর্তকীর পা
হিসেবের খাতার ভেতর হাঁটতে গিয়ে শব্দ হচ্ছে খুব
এই শব্দ আমি চাইনি, যদিও
জীবনের দিকে হেঁটে যেতে
এতো অন্ধ মানুষ আমি চাইনি কখনো।


যেমন বীজের ভেতর ধ্যানস্হ থাকে গাছ
তোমার ভেতর তেমনই প্রোথিত আছি আমি।

যতক্ষণ না তোমার খিদে আমাকে ছিঁড়ে ফেলছে
যতক্ষণ না আমি তোমার প্রার্থনায় সাড়া দিচ্ছি।


একার ভেতর কী এক পাগল কথা বলছে
এই মৃতদেহ বিষণ্ণ সেতু ভেবে তুমি ভেঙে ফেলতে পারো।

খুব সকালে একটা প্রজাপতি তোমার ক্ষত চাটতে আসে
আজ ওকে না করে দাও। আজ ওকে শিক্ষা নিতে বলো।

ফেলে দেওয়া মাংসের আলোয় সাদা হয়ে উঠছে এলোপাথারি কুকুর
আর কুকুরের গানে ফিরে আসছে আবার হত্যার প্রকরণগুলি।


যে খিদে মাংসের ঘুম ভাঙাতে পারে না তা কোনো খিদেই না।
যে জাগরণ কেবলমাত্র ঘুমের দিকে ঝুঁকে— তাকে প্রশ্ন করা উচিত।
প্রলাপ কি তবে বিপদসীমার উপর এক উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুধু?
সম্ভাবনা নয় কোনো গুপ্ত জন্মের?

অথচ খাদ্যের সংস্পর্শে এসে সব প্রানী আঘাতের তাৎপর্য ভুলে যায়
সব আঘাত খাদ্যকেই আবার গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
এভাবেই সমাজ রচিত হয়, বোঝাপড়া রচিত হয়ে থাকে।


ফুলের ঘ্রাণ দিয়ে ফুলকে শনাক্ত করা যায়।
অথচ হাওয়া ব্যতীত ঘ্রাণের কোনো অস্তিত্বই থাকে না।
ফলে ফুল আর ততোধিক ফুলও থাকে না।
এরকম পরিস্থিতিতে তোমাকে অনুভব করি
শ্বাসে ও বিশ্বাসে হাওয়াকেও সমর্থন করি তাই।
হাওয়ার ভূমিকা পালন করি
সর্বহারার ভূমিকা পালন করে যাই।

Facebook Comments

পছন্দের বই