লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

পঙ্কজ চক্রবর্তী

ইচ্ছাপত্র

কীই বা চেয়েছি এমন
দু- একজন সামান্য অবুঝ পাঠক
অথবা নিরক্ষর শ্রোতা
রেলপথে হাওয়া ছোটে দূরত্বের কাছের মানুষ

যে জটিল, সহজ চোখে দৃষ্টিপাত করে
মধ্যদুপুরে উনোনে স্নানের অবসর

অনাবৃষ্টির দিনে দু’চোখে যে বিরহ ঝরে

নকল মানুষের মেধা
আমার কবিতা যেন স্পর্শ না করে

বৈধব্য

যে নেই তার ভঙ্গিমাটুকু নিয়ে বাজার সেরে এলে
বলছ : দেখো তো রঙটা কেমন?
মানাবে এই বয়সে !

আয়নার গল্প ছড়িয়ে পড়ছে দুই দিকে

কে দেখছে ? দুপুর ?
এলোমেলো বিছানায়
মিথ্যে সাঁকোর ছায়া পেরোচ্ছে জোয়ারের জল

ঝড়ের ভুল

সুন্দর, আমি গিয়েছিলাম

তুমি তো বলনি : বাজাও আমারে বাজাও
তাই ফিরে আসা
বিষণ্ণ আমিষ ছায়া দরোজা স্পর্শ করেনি

তোমারও সংসার আছে
আছে জল, প্রিয় মুদ্রাদোষ, অন্তিম সাঁকোর চরিত্র

অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যা নিয়ে
পৃথিবীর  সব গান ঘি ও আগুন মেপে
বিবাহরেখায় শেষ হবে ?
ধান ও যবের শিষে সূর্যাস্তের গান

সন্তান উৎপাদন জটিল হয়েছে

মিথের ওপারে

মহৎ তাঁর দুঃখ নিয়ে কিছুদিন সম্ভাবনা খোঁজে

চুল্লির ভিতর তাঁরও পয়তাল্লিশ মিনিট
উত্তরীয় ডানা ঝাপটায়
বেজে ওঠে স্মারকের টিনের পরাণ

সামান্য দূরত্বে পরামর্শ সেরে নিচ্ছে দুধওলা
দেবতা ও পাইলট কার
বদ্ধ ডোবার পাশে কিংবদন্তী উবু হয়ে বসে
দু-একজন নিরীহ মানুষ কারণে অকারণে বোঝে

মহৎ তাঁর দুঃখ নিয়ে প্রতিদিন সম্ভাবনা খোঁজে

বয়ন

জানালা বেয়ে নামছে কাঠবেড়ালির মৃত ছায়া
পুরনো ক্লার্কের ঘুম ভেঙে যায়

মাঠ থেকে উঠে এল একজন
দাঁড়িয়ে রইল  নিজের তৈরি করা মেঠো বাসস্টপে
তার নাভির কাছে তামার পয়সা টলোমলো

সমস্ত দূরত্ব আলোকবর্ষব্যাপী এক শ্বাপদ ভঙ্গিমা

দুজন মানুষ আলাদা অসুখে পড়ে আছে খড়ের গাদায়
যেন সব অস্থিরতায় গ্রহণ লেগেছে

যেন সূঁচই প্রকৃত বিদ্যা উন্মাদ ঘাসের জঙ্গলে

Facebook Comments

পছন্দের বই