লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

ধ্রুবন সরকার

ব্রেইল-এ লেখা আমলকি গাছ


এই যে সব ফেলে আসি বারবার, তোমার কাছে… রাত্রির জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেখি, শ্লোগান, শেষমেষ ধোঁয়া আর পুরোনো আগুনে… ঘরে রাখা মাটির কলসি, ঘট, উল্টে গেছে । ডানায় বীজ-শব্দ, ভাগ হওয়া ক্ষুধা। দু-তিন বার ডুবে গেলেও অবৈধ লুকোচুরি, খেলার ঝোঁক। আমি সব পাণ্ডুলিপি লুকিয়ে ফেলছি তোমার থেকে, সব আতরের দাগ, আদরের ক্ষত, চাঁদের নদী-মোহনা, আমার আশ্রয়। সূর্য পুড়ে পুড়ে কালো হচ্ছে, আমার কনুই। ডালের গায়ে গেঞ্জিটা মেলে দিলাম, গলার কাছে ছেঁড়া। কমলকুমার ছবির খাতা থেকে রং ঢেলে দিয়েছেন। আমার দু’হাতে ভোরের অন্ধকার, পেনসিলের শিষ। সিঁড়ি-ধোয়া জল গড়াচ্ছে উঠোন, সদর দরজায়। আমি পুরোনো তারা খুঁজছি, আলো। দোর-খোলা নদীর জল পূর্ণকুম্ভে, একা। বটতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে ব্রিজের দিকে মুখ করে ঝগড়া করছি তোমার সঙ্গে। বন-জঙ্গল, ঘাস-লতার নীচ দিয়ে চাঁদের ছোটো ছোটো কালো দাগ হেঁটে বেড়াচ্ছে। সারা দুপুর ভেবেছি বৃষ্টি আসবে, তোমার মতো তারাও আজ কতটা বাগানের গাছ আর কতটা মাটি ভিজবে, তার হিসেব মেলাতে মেলাতে চলাঘর এঁকেছে, টিনের তোরং। মাঝরাতে যখন তোমায় এসব লিখছি, দু’চোখের পাতার শিশির অজানা পাথরে, চুপিসাড়ে নিয়মের ভাগ চিহ্ন আর বিয়োগের যত কাল দেশ, একক অনুমানে, শরীরের ডালপালায়। রাতচরা পাখিটা এইমাত্র দৌড়ে গেল, তোমার এদিক-ওদিক। নতুন যে এল তোমার জীবনে, বলেছ তাকে আমার কথা? কেমন ভালোবাসতে আমায়? কেমন ধোয়া হাতে তৃষ্ণার জল, রঙচটা মিনার বেয়ে ফেনাভাত। দুপুরের আঠালো রোদ আর বাটি-পোস্তর সুঘ্রাণ এখনও প্লাস্টিকের টেবিলে, বড্ড টানটান। মধ্যমার কুয়াশা সরিয়ে পাখির পা পড়েছে, তৃতীয় মনে। শূন্য চোখে সব হারানো গান শোনা যায়। আজও তুমি আমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলে না, কোথাও। আজও আমি বৃষ্টির কথা ভেবে, খেয়াঘাট, নৌকোর সম্পর্কে। আর ঘেয়ো মনের ওপর দাঁড় এঁকে চলা ডিঙিটা… ভেসে যাচ্ছে, তুমুল প্রশ্রয়ে।


আমাদের কাছে একা হয়ে যাওয়াটা আসলে কিছু নয়। আমরা তো একাই, ঘুরতে ঘুরতে প্রবাহ, প্রবাহের ক্ষয়ে লম্বা ছায়া… ফুল, সুগন্ধি… সূর্য যেদিকে অস্ত যায়, সেদিকেই হেঁটে গেছে। এসব আসলে তেমন কিছু হয়ে ওঠে না কখনও। আমরা সবাই ঐদিকেই হাঁটি… ঘুম না এলে স্লিপিং পিল… পিল ভাবলে আরও কিছু মনে হয়। টুপটুপও পিল নিত… আমরা দুজন একসঙ্গে অনেকক্ষণ জেগে থাকার পর। না ঘুমোনো রং বলতে আলোধোয়া খয়েরি। আচ্ছা, খয়েরি আর বাদামি খুব কাছাকাছি, তাই না? না হলেও কিছু যায়-আসে না। তবে, বিস্কুটের রঙে ভেজা একটা দিন… নিজে অদৃশ্য হয়ে ভাবি… চারকোলে আঁকা কালো-সাদা ঘুম, কানের লতি বেয়ে নেমে আসছে আলো, আশ্চর্য ত্রিপলের কোণ, ভেজা ছাদ, জলঢোড়া। পাশে মুখচোরা মস্ত গর্ত, ভেতর থেকে লাজুক বাঁশ মুখ বার করে রেখেছে। শুধু কালো গর্তটাই ছবিতে রয়েছে, আর পিল না খাওয়া পাখির পালক। এটাও তেমন কিছু নয়, আসলে পালকের পাশে মরা পাখিটার শরীর পড়েছিল।

দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে যায়, কুড়িয়ে নেওয়া যায় না। রবীণদা যেদিন চলে যান, সেদিনও আলো জ্বেলে দিয়েছিলেন। আগের রাতগুলো পোড়া মনসাপাতা যেন। আকন্দ গাছে থোলো থোলো অন্ধকার। অন্ধকার মানে কতগুলো কাকের গায়ে-গা দিয়ে বসা। বর্ষার দিনে ছাতা উপুড় করে তাতে জল ধরেছি, কাগজের নৌকো ভাসিয়ে যন্ত্রণার স্বাদ, তাড়না, আঙুল ডুবিয়ে প্রতিসরণের দূরতর দেশে ইউটোপীয় উপাদান খুঁজে চলা। জীবনের অন্তর্গত নৌকোয় যেতে যেতে ভেবে নেওয়া, যে আমার পাশেও একজন শুয়ে আছে, জলের ওপর, যার বুক বলতে ঢেউয়ের ওঠানামা। যদি মনে করি এসবও কবিতা, তবে অবশ অংশেরা দু-চারটে গাছ, শখের ছবি, শব্দের ছবি। সেসবের অনুলিপি করবে বলে, চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একজন।

এসব তেমন কিছুই নয়, হারিয়ে যাওয়া বিন্দুর স্বর, আবীর। সম্পূর্ণ ভুলে গেছি, কিভাবে কান্না থামাতে হয়। ছায়াপথ অন্ধ মানুষদের হাতে পর্বতের ভাষা, কালো সামুদ্রিক রং, বৈভবে শিস দেওয়া দেওয়াল গেঁথে দিয়েছে।


এখন রাতে ঠিকমতো ঘুম আসে না, আজ থেকে তাই একটা খেলা খেলব ঠিক করেছি। লেবুপাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে পেছনের বাগানের পাশে সব ভুল শুধরে নেব। জুতোর ফিতের কাছে পাঁজরের কত হাড় পড়ে থাকে। রেলে-কাটা মানুষের পা খসে যায়। চিতা থেকে গড়িয়ে গেলে, আবার ধরাধরি করে তাকে কাঠের বিছানায় শুইয়ে অর্ধেক ব্যথার কথা মনে করিয়ে দিই। ভ্রূজোড়া ঠোঁটের নীচে রেখে চুমু খায় টুপটুপ। আমাদের পেট-বুক জুড়ে আজ ঐকিক নিয়ম। লেবুপাতার রসলাগা মধ্যমা চুষে চুষে আরও বেশি তেতো স্বাদ।

আজ নিঁখুত একটা গন্ধ উড়ে আসছে কোথা থেকে… নিয়মের সূত্র… সূত্রের ঘাম… ঘামের ফোঁটা…


ছায়া আমার চেয়ে অনেক দূরের স্বর স্পর্শ করে। ঝোপের শব্দ আর বুনো রং শুঁকতে শুঁকতে ভাবে, বুকের ভেতর ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে যাওয়া মাছরাঙার গন্ধ হাতের তালুতে ঘষে নি-ই। লন্ঠন ভেবে কত কিছুই তো জমিয়ে রাখলাম… করুণ আলোছায়া, তেলরং। টুপটুপের ভালো নাম ছিল আলো। গর্তে ফিরে যাওয়ার আগে সে প্রতিবার শাড়ি ও আকাশের মুদ্রা আঁকত, খেজুরপাতার ছায়া।

রং ও রেখা বেড়ে চলেছে, পাতার ঘুমও। এখন রোদের চোখের দিকে চাইলেই বুঝি কালো শেকলের নীচের জবা গাছটা কেন চোখ বন্ধ করে। জামগাছের হাওয়া কবরের আলগা মাটি অক্লেষে ছুঁয়ে যায়। ঐ তো, তোমার পায়ে আটকানো কুয়োতলার ছায়া, ছিঁড়ে ছিঁড়ে, স্নান সেরে ভেসে যায়। কপালে জপমন্ত্র ঠেকিয়ে মা অন্নত্যাগ করে, গঙ্গার দিকে মুখ ক’রে… দু-মুঠো আতপ চাল। বাবা চলে যাওয়ার আগে থেকেই মা সাদা কাপড় পড়ছে, সমরকাকু মারা যাওয়ার পর। পাশ দিয়ে জিওল মাছ লাফিয়ে যায়, মাছওলার সাইকেলের হাঁড়ি থেকে। চোয়াল শক্ত হয়ে কুড়িয়ে আনা কাঠ… উল্টোরথের ঘোড়ার জিন টান দিয়ে ফিরে যায়, ডাকে না। রোদের তেজ বাড়লে লাল্টুদের পেয়ারা গাছে দুটো শালিক এসে বসে, আর মা-এর দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে, রোমকূপে জোড়া আঁশের মতো। আমি দুলে দুলে পড়া মুখস্থ করি। যেসব দিনে পেট নরম হয়, ওই গাছের কচি পাতা সেদ্ধ করে জল… বাঘছালের রং। বাসি মুখে অর্ধেক জল , দেওয়ালে ঝোলানো চৈত্র-রাত। ঘুমের ওষুধ প্রিয় আঙুলের মতো, ঘুম পাড়িয়ে দেয়। সাইকেলের রডে জড়িয়ে থাকা রোদ হয়ে, কালস্রোত আর হাতের আঙুলের ধূসর ঝোলায়।

সেদিনও ছিল একলা বৈশাখ, সকালে ফোন করেছিলাম। টুপটুপ বলেছিল, আজ যখন প্রথম তোমার ফোন এল, সারাদিন না-জানি কতকিছু…। আর ঐ দিনই বাবা চলে গিয়েছিলেন। একটা ছোটো ছবি আমায় দিয়ে বলেছিল, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বাঁধিয়ে দিও। পারিনি। যতবার ছবিটা বড়ো করেছি ততবার সূর্যমুখীর প্রতিটা পাপড়ি কুঁকড়ে গেছে। আমরা আবার কি হারাব, বলো? চুলের দশদিক ধুয়ে গেছে চালধোয়া জলে। শ্বাস নিচ্ছি… জপের চেয়েও নিঁখুত পরম্পরায়, আয়নার বিন্যাসে। শ্বাস ছাড়ছি, নিয়মিত ভেদহীন এক কুঁড়ে ঘরে। আলো সেখানে বেড়ার ফাঁকে, মাটি স্পর্শ না করেও… ধুলোর কাছে, পর্দা ও পুরুষে।

তার চেয়ে আমার ঘুমের অসুখ-ই ভালো। প্রতি ঘোষ-অঘোষ বর্ণ জলের মতো ভেসে যাবে, চিহ্ন বদলাবে ঘোড়ার পিঠের। টুপটুপের কালো শাড়ির আঁচলে পীতরক্ত, গিঁট বেঁধে রাখা। নিজের চেয়ে আপন কোনো ভষ্মাধার খুঁজে পাইনি কখনও, যা অনন্ত আশ্রয় হতে পারে। তুমি অনেক নদীর কথা শুনিয়েছ, অনেক বয়ে চলা… তাদেরও খুঁজে পাইনি। আমি পৌঁছনোর আগেই পথটা শেষ হয়ে গেছে।

প্রতিদিন একটা বুনো পাথরে দাঁড়িয়ে আমার ফিরে চলা দেখি। দূর থেকে মনে হবে রিলিফ স্কাল্পচার, ধানের শিষ। অজস্র আশ্রয় মিশে আছে দূরশব্দে। আগাছার আঙুলগুলো এবার ছড়িয়ে পড়ুক ঘরময়। কত বছর বাদে আজ তুমি চেয়ার টেনে বসলে, ভারী বোতলের চওড়া বুকে কলমির দাগ। তোমার যন্ত্রণা টানটান সেলোফেনে মুড়ে চোখের স্নায়ু, হাতের পাতা আলাদা করে রাখছি। কে তবে প্রিয় বলো, ভেজা হাওয়ার শব্দ? অর্ধেক নদীকথার ফুসফুস? সেই কালো শাড়িটার মতো যে রঙমুক্ত একফালি পাল্লা ফাঁক করে রেখেছে? ফিতে বাঁধা ব্লাউজটা, ওর সাথেই তো পড়বে ভেবেছিলে? আর তাই বিকেলবেলা বেড়িয়ে স্টেশনধার… সারা রাস্তা আমরা জেগেছিলাম। সেদিন সবুজ রং কিনেছিলে বোধহয়। আর দড়ি বাঁধা পিঠ। কালো শাড়িটার সাথে মিলল না বলে পড়াও হয়নি।

আমার পা পিছিয়ে যাচ্ছে, তোমার ধুলোয়। শরীরের জয় পরাজয় ভেবে তুমিও বর্ণহীন। শ্রেয় রেণুশ্লোকে মেলে ধরেছ আঁচল, আমি ডুব দিইনি।

আজ উৎসর্গের পাতায় সব ঘুম ডিঙিয়ে বলো… সিন্ধুজল, আর মৃত পাখির পালক। চোখ আটকে যায় তোমার পুনর্যাপী ঘরে। সেখানে আজও নিভিয়ে দেওয়া আলো, তাসের দেশ আর তোমার কালো শাড়িটার রং পড়ে আছে।


আমাদের হাতের অমলতাস আর সঙ্কীর্তনের যাদব ফকির এক মানুষ নন। পঞ্চভুবনের আচার সংস্কারে আমি অনেকবার তার মুখের দিকে চেয়েছি। নাট-মন্দিরের সব নকশায় সে কাঁচা-পাকা ধানের ভেতর ঘাসপোকার আলপনা খুঁজে পেয়েছিল। চৌপথি থেকে ডানহাতের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে দূরের মন্দির-ঘরে ঘন্টার আওয়াজ। রোজা রাখার দিনেও কাছে গিয়ে শুধু ত্রৈরাশিক গুণ, চিহ্ন, ভাগের অবশেষ আর সিঁড়িভাঙা অভাবি সর্বনাম… নিজেকে খুঁজে খুঁজেই দিন শেষে অন্তরীণ দাহ নিয়ে ফিরে যায়। জোড়া পাঁকালমাছ বৈশাখের জ্বরে ঘোলা চোখে চেয়ে দেখে, আমার কুশের আংটি দে-ঘাটের ধাপ বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে নামছে… কলাপাতার ছেঁড়া ডোঙায় আতপ, কলা, কালো তিলের চটকানো মণ্ড নিয়ে। যারা শেষমেষ শ্মশানগাছে পায়রার দল খুঁজে পায়, মাজারের পাশের জমিতে কিরিচ ও তন্তুজ অভ্যাসে পাঁচিল গেঁথে রাখে, তারাই হাতের রঙিন কাচ টুকরো টুকরো করে কবরের চারপাশ সাজিয়ে দেয়। আমপাতায় আলতারং, পাটি বিছিয়ে তার ওপর খোলা পিঠ, দাঁতের দাগ, জরির শব্দ… কম পাওয়ারের আলো জ্বেলে। মরা সাপের দেহের মতো লম্বা হয় রাত।

নিরন্তর অন্ধদিনে ক্ষুরের আড়াল ধরে ধরে আমার বড়ো হওয়া। জানলা খুলে বসেছি, নিঃশঙ্ক ভয় আর সংকটে গা পুড়ে যাচ্ছে। উত্তরের পাহাড়ের গায়ে একটা শালগাছ জন্মেছে। অবৈধ। গোপনে বলে এসেছি তছনছ হয়ে যাওয়া ক্যালেন্ডারে এবছর কোনো জন্মদিন থাকবে না, কোনো ভুলের চিহ্ন। অন্ধকার ঢুকে পড়েছে খোপকাটা ঘরগুলোয়। আজ আওয়াজের চেয়েও তীব্র টান অনুভব করছি কমলকুমারের ছবির খাতায়।

বাঁকা সূর্যের আলোয় ভেসে যাচ্ছে কামিনীর ঝোপ। গাছের শেকড় গা থেকে নীচের দিকে ঝুঁকে তারপর মাটির ওপর দিয়ে সহজিয়া ভঙ্গিতে…। ফিঙেটা নাচতে নাচতে আড়াল থেকে বেরিয়ে কী যেন খুঁটে নিচ্ছে… পাতা ও আমার নির্লিপ্তি। বিউগল ফেলে ছিঁড়ে যাওয়া ঝিল্লির স্রোত সরল আত্মরতি ভেঙে ভেঙে ছাইয়ের গাদায় নাভিকুণ্ড খোঁজে। তুমি যা চেয়েছ টুপটুপ, আমিও কি তা চাইনি? মাটির অন্ধকার, কনকনে রক্তজাল, পৌরুষে বিষয়ী হয়ে ওঠা মেঘ, অলৌকিক মায়াধ্বনি, দীর্ঘ অভ্যাসে অনিদ্রা ছুঁড়ে দেওয়া নির্জন গলি, ধোঁয়ার গাদ, সেঁকোবিষ। ছায়া বেয়ে ওঠা জলের নীচে আমাদের সংসার, নহবত বাজিয়ে। জলে ডুবে নেই ভেবে নারী ও নক্ষত্রের ঘট ভেঙে যায়। পূর্ণগ্রাস আছড়ে পড়ে একরোখা শালুর আঁচলে।

এমন বিকেলে তোমার বুকে হাত রেখে কেঁপে উঠেছিল আকন্দের ডাল, যেন যত্ন করে বাঁধিয়ে দিয়েছি আমাদের ফুলের দিন, মেঘে আসা জল। তুমি আমার চেয়ে আরও আগে থেকে কষ্ট পাও, করবী আঠায়। আজ যদি সত্যিই বৃষ্টি হয়, সেই জলে ধুয়ে যাবে গোয়ালঘর। মাঠ খুঁজে নেওয়া মেথি ফুল স্নান করবে। তোমার শরীরে ফসল ফলবে আজ, যা আমি খেয়াল করিনি, মুখ বুজে আসা বর্ষার দিনে।

Facebook Comments

পছন্দের বই