কবিতা
সুবীর সরকার
বাজনা
তুমি বাজনা বাজাবে বলে খুলে এনেছি মৃতের
হাড়
ঘোড়া আছে, অশ্বমেধ নেই।
ঘুঘুর ডানায় যখন রোদ
আমরা তখন কোনো না কোনো কর্মসূচি বেছে
নিই
বিশ্রাম সেরে একটা ঘরে ফিরবার দুপুর
ঘামে ভেজা গামছা।
ধানখেতে জল জমলে উপচে ওঠে
অভিমান
ডুব সাঁতারে আছি।
অবসর ভেঙে অবসাদ।
পুতুল
মনকেমনের দু-পাশে দোনলা বন্দুক।
পালকিতে যাত্রী নেই।
শোকেসে দুপুরের আলো
পুরোনো নদীবন্দরের গায়ে হেলান দেয়
পুতুল
গ্রামার
গ্রাম ও গ্রামার ঘেরা নদী।
ভূগোলের ভেতর ইতিহাস হয়ে ঘুমিয়ে থাকে
জঙ্গল আর জনপদ
আমাদের জেগে থাকতে হয়
অদ্ভুত এক কাচের পৃথিবীতে
লালশাক
উনুনে কাঠ গুঁজে দিচ্ছ।
এদিকে লালশাকের বাগানে সন্ধে নামে
হিম থেকে আমরা হেমন্তে সরে যাই
পেতে রাখা রাস্তা।
অন্ধকারে বিছিয়ে দেওয়া শোক।
বিকেলে হাডুডু খেলি
খুব চেনা মনে হয় সার্কাসের
তাঁবু
হাসপাতাল
ব্যক্তিগত দোলনার পাশে ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে
থাকে
মৃতরা উঠে আসে শহরের রাস্তায়।
হাসপাতাল আর বাণিজ্যকেন্দ্র ঘিরে তারা শিস
দেয়
এতসব ঘটে,ঘটেই চলে।
আমি লিখি, ভাঙা ডানার ইতিহাস।

সুবীর সরকার
৩রা জানুয়ারি , ১৯৭০ সালে জন্ম। কবিতার পাশাপাশী ভিন্ন্যধর্মী গদ্যও লেখেন। লোকগান ও সাবল্টার্ন বিষ্যে আগ্রহী। স্বপ্ন দেখেন হলুদ খামারবাড়ি, সাদা ঘোড়া ও আবহমানের এক জীবন। প্রকাশিত বইঃ যাপন চিত্র, শোক ও শ্লোকের দিনলিপি, বিবাহবাজনা, তন্ত্রপুস্তক, সাদা ঘোড়া ও লোকপুরাণের কবিতা, নাচঘর, নির্বাচিত কবিতা, বিবাহ বাজনা, মাসুদনামা।