Categories
কবিতা

কচি রেজার কবিতা

সংবেদনা

কীভাবে যে বুঝে যাও এসব কালের মোহ
দ্বিতীয়তঃ শুনেছি, এখনো কুমারী নাকি আমি
আর আমার গ্রীবার দাগ

Categories
কবিতা

রূপায়ণ ঘোষের কবিতা সিরিজ

উৎসর্গপত্রের দিকে চলে যাচ্ছে আরও একটি বই

নামপত্র
কোনও অমোঘ শিরোনাম রচিত হবে ভেবে
পৃথিবীর বিপরীতে এসে দাঁড়াই
সমস্ত অন্ধকার আশ্চর্য অবয়বশূন্য

Categories
কবিতা

সংগীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুচ্ছকবিতা

ধারণ

দীর্ঘ অপমান জমে যে-সব কবিতা উঠে আসে
পড়ন্ত রোদের মতো তাদের গায়ের রং ধূসর হলুদ

বিকেল হারিয়ে যাওয়া মনখারাপিয়া

Categories
কবিতা

বিদ্যুৎ করের গুচ্ছকবিতা

স্থির

সকালের আলোয়
সব কথা পাখি হয়ে যায়

সন্ধ্যা এলে
সব কথা নদী হয়ে আসে

Categories
কবিতা

সোনালী চক্রবর্তীর গুচ্ছকবিতা

সিরিজ— পঞ্চমুখী
(পাঞ্চালি নয়, পঞ্চকন্যাও নয়)

মহামায়া

দেখো, এভাবেই ঠিক, হারিয়েই যাব একদিন, বেঁচে আছি, এই কম্পন পদ্ম কাঁটার মতো ধ্রুবকহীন। ভেসে ওঠে, আবার মিলায়।

Categories
কবিতা

ঋক অমৃত’র গুচ্ছকবিতা


নিজের থেকে দূরে যেতে যেতে মনে হয় আয়নার আরও ভিতরে প্রবেশ করছি ক্রমশ। ঠিক যেন সদ্যরচিত গজল;

প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়ে, অরুণেশ ঘোষের গল্পের কথা মনে পড়ে, নিজস্ব চাকরির কথা মনে পড়ে…

Categories
কবিতা

মোহিত তন্ময়ের কবিতা

চৈত্র

চৈত্রের রাত্রে ঠান্ডা হওয়া দিলে, একটা বিমর্ষ আমবাগানে ঢুকে পরি, বন্ধ্যা বাগানকে ঘিরে কোথাও কোনো লোক দাঁড়িয়ে নেই, শুধুই মরে যাওয়া শীতল পাতাদের হলুদ ঠোঁট থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়ছে দু-দণ্ড ব্যর্থ ষড়যন্ত্র।

Categories
কবিতা

সৌমাল্য গরাইয়ের গুচ্ছকবিতা

সম্পাদকীয়

স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া মানুষের মুখ না লিখতে পারা কবিতা। অপাপবিদ্ধ। যন্ত্রণাকে শিকার করতে করতে দক্ষ শিকারীর মতো চুপ থাকে। তারপর একদিন নিজেই নিজের শিকার বনে যায়। আমি শিকারি নয়, বরং জল্লাদ হতে চাই। নিজেকে হত্যা করে প্রতিটি যাপনে শরীর থেকে শরীরকে ছুঁড়ে ফেলে দেখতে চাই তার প্রতিটি গোপনাঙ্গে কী লেখা আছে!

Categories
কবিতা

অশোক ঘোড়ইয়ের গুচ্ছকবিতা

স্নানের দেরি হয়ে যাবে, অশোক

নীল মোজার ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রেখে দিই অনেক সময়

নিজেই একসময় টেনে বের করে নিই
নিজেকে : অশোক, এভাবে লুকিয়ে থাকলে, স্নানের দেরি হয়ে যাবে।

Categories
অনুবাদ গল্প

হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখরের গল্প

নভেম্বর ইজ দ্য মান্থ অফ মাইগ্রেশনস

ভাষান্তর: রমিত দে

(জন্মসূত্রে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর সাঁওতাল এবং সাঁওতালী জীবনের অস্তিত্বের প্রশ্নগুলিই বারবার তার গল্পে অনুরণিত হয়েছে। বারেবারে একজন গল্পকার তার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে পাঠককে মুখোমুখি করিয়েছেন প্রান্তিক মানুষের নির্বাসিত জীবনের। এমনকি তার প্রথম উপন্যাস-‘রুপি বাস্কের অদ্ভুত অসুখ”এর মুখবন্ধে হাঁসদা শৌভেন্দ্র শেখর যখন লেখেন –‘ এটি ইংরেজিতে লিখিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাঁওতাল উপন্যাস’ তখন বোঝা যায় কিভাবে তার যাপনে জড়িয়ে রয়েছে নিজস্ব জাতিসত্ত্বার ভাষ্যগুলো। এই উপন্যাসের জন্যই হাঁসদা শৌভেন্দু শেখর ২০১৫ সালের যুব সাহিত্য আকাদেমী পুরষ্কারে ভূষিত হন এবং ২০১৪ সালের ‘ক্রশওয়ার্ড বুক এওয়ার্ড ও হিন্দু লিটেরারি এওয়ার্ডের জন্য তালিকাভুক্ত হন। )