লেখক নয় , লেখাই মূলধন

কবিতা

পিন্টু পাল

দৃশ্যের বাগান থেকে


শুয়োপোকার মতো কামনা হু-হু করে ঢুকে পড়ে বুকে। প্রেমবিহ্বল আবেগ। যেন স্থির জলে খোলামকুচি এঁকে দিয়েছে ঢেউয়ের আলপনা। বিকলাঙ্গ অতীত ক্রমশ পাথর করে দেয় সব।শিমুলের ডালে নেমে আসে বছরের প্রথম বসন্ত। প্রচ্ছন্ন আগ্নেয়গিরির মতো উদ্বেগ উসকে দেয় জন্মদাগের উঠোন।

ওগো সর্বগ্রাসী, ভালোবাসায় যে বড়ো ভয়!


ধীরে ধীরে আগাছা শিকড় নামায়। ভুল মন্ত্রোচ্চারণের মতো শঙ্কা চিড় ধরায় হাড়ে। রজনীগন্ধা সুবাস হারিয়ে পড়ে থাকে বিছানায়। দক্ষিণে নলখাগড়া দল পাকাতে পাকাতে ঝাঁক বেঁধে আসে।জ্বরে পুড়ে যায় পিঠ।

কালো বিড়াল আঁচড়ে দেয় দেহজবলয়।


শালগাছের পাশেই রাধাচূড়া। সাদা পায়রার দল সোনালি গমের শীষ নিয়ে বসে। চঞ্চল ঠোঁট। দূরে লাজুক শালুক পুকুরে ফুটতে ফুটতে আড়চোখে দ্যাখে উন্মাদ মাছরাঙা পাখি। গাছে গাছে শ্যামাকোকিল আকাশ ছুঁয়ে গান আনে। গোঁসাইপুর ডিঙিয়ে বেজে ওঠে একতারার সুর।

তবে কি বৃষ্টি এল এই!


অন্ধকারে চকচক করে ওঠে যোনি। যেন অভ্র ছিটিনো জলভেজা বালুতট। পায়ে রাবার গাছের আঠা। বৃষ্টি নামছে দেখে পেখম মেলে এগিয়ে আসে ময়ূর।

অন্ধকারে শরীর এগিয়ে যায় সাপের মতন


এই ঘন আলিঙ্গনের মাঝে রাস্তা বয়ে যায়। মৃত পালকের মতো মায়া ভাসতে ভাসতে আছড়ে পড়ে মাটিতে। কাঠঠোকরার নরম ঠোঁটে লেগে থাকে বুড়ো পলাশের রস। জাদুনগরীর জানালায় শোক চুপটি করে বসে। দু-চোখের দৃশ্য ভেঙে ভেঙে যায়।

প্রতি রাতে জোনাকিপোকা আলো নিয়ে অসুখ সারায়

 

Facebook Comments

পছন্দের বই