কোনো বিষয়কে সিগনিফায়েড করতে চিহ্ন বা সংকেতের গুরুত্ব অপরিসীম। সস্যুর থেকে দেরিদা কীভাবে তত্ত্বের দ্বারা এই চিহ্নের প্রয়োগ করেছেন তা সম্পর্কে খুব সহজে ধারণা পাওয়া যায় এই বই থেকে।
Shipping class: Initial
জীবনের তৃতীয় ছবি থেকেই রাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা। পঞ্চম ছবির পর সাময়িক জেল ও গৃহবন্দিত্ব। আর এই কিছুদিন আগে, গত বছরের জুলাই মাসে, ছয় বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে জাতীয় সরকার। অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহ। রক্ষণশীল সমাজের বিরুদ্ধাচরণ। দেশটির নাম ইরান। মানুষটির নাম জাফর পানাহি। নারীস্বাধীনতা ও লিঙ্গবৈষম্য বার বার তাঁর ছবিতে বিষয় হয়ে ফিরে আসে। ফিরে আসে ইরানের বিভিন্ন শ্রেণির অধিবাসী, এমনকী অভিবাসীরাও। পানাহি নিজেকেও প্রতিবাদের প্রতীক রূপে নিয়ে আসেন ক্যামেরার সামনে। ফিকশন ও নন-ফিকশনের এক অপূর্ব মিশেলে কাহিনি রচিত হয়। ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিত্রপরিচালক জাফর পানাহির শৈলী, আঙ্গিক ও সমকালীনতাকে, এই বইতে খুঁজেছেন অভ্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৯৫৪ সালে জীবনানন্দের অকাল প্রয়াণের পর প্রকাশিত হয়েছিল ‘ঊষা’, বুব-র ‘কবিতা’ এবং ভূমেন্দ্র গুহ-জগদিন্দ্র মণ্ডলদের ‘ময়ূখ’-এর ‘জীবনানন্দস্মৃতি’ সংখ্যা। আর সব পত্রিকার প্রসঙ্গ ফিকে হয়ে এলেও ‘ময়ূখ’ জীবনানন্দ সংখ্যার গুরুত্ব গবেষকের কাছে, অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কাছে আজও অম্লান। বলা যায় এই একটি সংখ্যার জন্যই সে-পত্রিকার নাম বাংলা কবিতার ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
কিন্তু আজকের পাঠক নাম শুনে থাকলেও চোখে দেখেনি কাগজটি। প্রায় ৬৮ বছর পর হুবহু সেই পত্রিকার ফ্যাকসিমিলি সংস্করণ আমরা প্রকাশ করতে পারলাম গবেষক প্রাবন্ধিক ড. মুহম্মদ মতিউল্লাহ্-র বিপুল পরিশ্রমে। প্রয়োজনীয় টীকাটিপ্পনীর পাশাপাশি সংযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় তিনি ‘ময়ূখ’ ও জীবনানন্দের সম্পর্কসূত্রটি আজকের পাঠকের জন্য নির্ণয় করতে চেয়েছেন।
বাংলা সাহিত্যের বলিষ্ঠ অথচ স্বল্প আলোচিত কথাকার জ্যোতির্ময়ী দেবী (১৮৯৪-১৯৮৮)। রাজস্থানে বসবাসকারী বাঙালি পরিবারে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। প্রথাগত শিক্ষালাভের সুযোগ না পেলেও বই পড়ার প্রবল আগ্রহ ও ব্যক্তিগত জীবন অভিজ্ঞতা তাঁকে সমাজমনস্ক লেখক হিসেবে গড়ে তোলে। সমাজ ও সাহিত্য সমান্তরাল ধারায় বয়ে চলে। তাই সাহিত্য পাঠ করতে গিয়ে সমসাময়িক সমাজকে খুঁজে পাওয়া যায় অনায়াসে। জ্যোতির্ময়ী দেবীর কথাসাহিত্যের সমাজ গণ্ডিবদ্ধ প্রাদেশিক সমাজ নয়, তার ব্যাপ্তি সর্বভারতীয়। লেখক তাঁর যুক্তিনিষ্ঠ উদার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কখনো সমাজের বৈষম্য অসংগতি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বহুমুখী সমস্যার উৎস সন্ধানের চেষ্টা করেছেন; কখনো দিয়েছেন সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশ, যেন এক মগ্ন সমাজবিজ্ঞানী। বর্তমান গ্রন্থে গ্রন্থকার জ্যোতির্ময়ী দেবীর কথাসাহিত্য অবলম্বনে সমাজ ও সাহিত্যের নিগূঢ় যোগসূত্রটি সুনিপুণভাবে বিশ্লেষণে সচেষ্ট হয়েছেন, সমাজসচেতন লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ মণিমুক্তোগুলি তুলে এনেছেন ঝুড়ি ভরে। নিঃসন্দেহে মননশীল পাঠকের সমাজভাবনার পরিসরকে প্রসারিত করবে এই গ্রন্থ।
“১ নং, গার্স্টিন প্লেসের অফিসে বসে অনেক কথা মনে পড়ছিল স্টেপলটন সাহেবের। রেডিয়ো ক্লাবের বেতার প্রচার তিলে তিলে কীভাবে একটা নিয়মিত রেডিয়ো স্টেশন হয়ে উঠল; কীভাবে একটু একটু করে শিল্পী-কলাকৌশলীরা বেতার কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হতে শুরু করল; কীভাবে রেডিয়োর জনপ্রিয়তা বাড়ল— এ তো সেদিনের কথা।
সেই রেডিয়ো ক্লাবের দিন পেরিয়ে এই গার্স্টিন প্লেসে এক ঝকঝকে নতুন বাড়িতে উঠে এল কলকাতা বেতার কেন্দ্র। খানিকটা আর্থিক সমস্যারও অবসান হল।”