টিকিট টু পাকিস্তান
তারপর লোকটা বসিরহাটের গাড়িতে যেই চেপে বসেছে অমনি গাড়িটা মাছ হয়ে গ্যাছে আর তখন যেই লোকটা বলেছে এতবড়ো মাছ অমনি মাছটা
দক্ষিণের জানলার দুটো পাল্লা হাট করে খোলা। ঘটনাটা তেমন কিছু না— তবে কি, আবহাওয়ার মন বুঝে জানলাটার বন্ধ থাকারই কথা। হয়তো ঘরে কেউ ঢুকেছিল। স্যাঁতস্যাঁতে গুমোট কাটাতেই ওই মেলে দেয়া। কী একটা ঝুমুর ঝুমুর শব্দ সেখানে খেলে যায়। অস্পষ্ট। কয়েকটা দ্রুত আর ছোটো নিঃশ্বাসই যেন পড়ল কারো। তৃপ্তির না অতৃপ্তির বোঝা যায় না।
হিসেব মেলে না। মেলে না বলা ভুল, হিসেব রাখাই হয়নি। যে-সব হিসেব মিলে যায় তারা অঙ্কপাড়ার লক্ষ্মী ছেলে। বাঁ-পাশ, ডান-পাশ হুবহু এক। সবুজ কালির টিকচিহ্ন। কিন্তু যে-সব হিসেব রাখা হয় না, একটা সময় দেখা যায়, সেই হিসেব রাখাই জরুরি ছিল। এদের অঙ্ক হয় না। এদের মেলানো যায় না। কিন্তু মেলানো দরকারি ছিল।